অমৃতা ঘোষ :- গত কয়েকদিন আগেই কারা মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন অখিল গিরি। এছাড়া বেশ কিছু দফতর ফাঁকা হয়ে গিয়েছে। কাজে গতি আনতেই মন্ত্রিসভায় রদবদল করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী , সেচ দফতরের নতুন মন্ত্রী হলেন মানস ভুঁইয়া। বর্তমানে জল সম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী তিনি। অর্থাৎ তাঁকে এবার থেকে দুটি দফতর সামলাতে হবে।
আরও গুরুত্ব বাড়ল মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। বর্তমানে স্বাস্থ্য দফতর ও ভূমি সংস্কার দফতরের প্রতিমন্ত্রী তিনি। এছাড়া অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী তিনি। এবার অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন। পরিবেশ দফতরের নতুন মন্ত্রী হলেন চন্দ্রিমা।
পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন গুলাম রব্বানী। তাঁর দফতর বদল করা হল। অচিরাচরিত শক্তি দফতরের দায়িত্ব পেলেন তিনি। এছাড়াও বাবুল সুপ্রিয়র দায়িত্বও আরও বাড়ানো হয়েছে। তৃণমূলের বিধায়ক হওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তি দফতর দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। এবার অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন শিল্প পুনর্গঠন দফতরে।
দায়িত্ব বাড়ল রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের। গুরুত্ব বাড়ল মানস ভুঁইয়ারও। দায়িত্ব বেড়েছে মন্ত্রী গোলাম রব্বানিরও। অন্যদিকে, শিল্প পুনর্গঠন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হল বাবুল সুপ্রিয়কে ৷ সেক্ষেত্রে দায়িত্ব বাড়ল তাঁরও। তাৎপর্যপূর্ণভাবে সদ্য মন্ত্রিত্ব হারানো অখিল গিরির কারামন্ত্রীর দায়িত্ব নিজের হাতেই রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্য মন্ত্রিসভার রদবদলে নতুন মুখের প্রবেশ ঘটতে পারে বলে আগে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু তেমন কোনও চমক এদিন দেখা যায়নি ৷ বরং নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে যেভাবে বারবার রাজভবন এবং রাজ্য সরকার সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে সেক্ষেত্রে নতুন কাউকে মন্ত্রী পদে এনে সেই সংঘাত আরও বাড়াতে চাইলেন না রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment