রোজদিন ডেস্ক :- আজ বসিরহাট ও বারাসাত এ সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে হাজি শেখ নুরুল ইসলামের ও কাকলী ঘোষ দস্তিদারের হয়ে এই জনসভা করেন।
আগামী ১ জুন বসিরহাটে ভোট। তার আগে মঙ্গলবার তৃণমূলের প্রার্থী হাজি শেখ নুরুল ইসলামের সমর্থনে সভা করলেন মমতা। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যে উঠে এল সন্দেশখালি প্রসঙ্গ। বসিরহাটের মঞ্চে শুরুতেই সন্দেশখালির প্রসঙ্গ টানলেন মমতা। তিনি বললেন, ‘‘সন্দেশখালির মা বোনেদের সঙ্গে যা ঘটেছে, তার জন্য হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে দুঃখিত। মা-বোনেদের নিয়ে যেন অসম্মানের খেলা কেউ না খেলে।’’
বসিরহাটে ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করেন নুরুল ৷ সিপিআই প্রার্থী অজয় চক্রবর্তীকে ৬০ হাজার ভোটে হারান তিনি ৷ যদিও ২০১৪ সালের নির্বাচনে এই কেন্দ্রে প্রার্থী হন ইদ্রিশ আলি ৷ এরপর ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে প্রার্থী করে দল ৷ এবার ফের সেই নুরুলের উপরেই ভরসা রেখেছে দল ৷ তাঁর বিপক্ষে সন্দেশখালি আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ রেখা পাত্রকে প্রার্থী করেছে বিজেপি ৷
সুন্দরবনের মানুষদের যাতে প্রশাসনিক কাজে কোনও সমস্যা না হয় সেই প্রসঙ্গে মমতার ঘোষণা, ‘‘সুন্দরবন নিয়ে নতুন মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছি, আপনাদের জেলা নতুন জেলা হবে বসিরহাটের বেশির ভাগ অঞ্চলগুলি নিয়ে একটা জেলা হবে। ওই দিকে বকখালি সাগরদ্বীপ নিয়ে আরও একটা জেলা হবে।’’ আরোও একটি সভা করেন বারাসাতের তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাকলী ঘোষ দস্তিদারের হয়ে। তিনি বলেন কাকলী আমার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, আমরা অসমে গিয়ে মার খেয়েছিলাম এক সঙ্গে।
এই জন সভায় তিনি তুলে ধরলেন , এলাকায় কি কি উন্নয়ন হয়েছে তার পরিসংখ্যান। তিনি বলেন আমি হিন্দু ব্রাহ্মণের মেয়ে, কিন্তু আমি নিজেকে মানুষ হিসেবে পরিচয় দিতে বেশি ভালবাসি। এই ভাবেই কটাক্ষ করলেন তিনি।
মমতা মোদী কে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘‘অনেক সময় আমরাও বুঝতে পারি না ফল কী হবে। মানুষ ঠিক করে ফেলেছে। তা না হলে কেউ বলে, জগন্নাথ দেবও নাকি ওঁর ভক্ত। বুঝুন, ভগবানের থেকে ও বড়। তা ভগবানের থেকে বড় হলে আপনি মন্দিরে থাকুন, পুজো করব। যা ইচ্ছা তা-ই করছে, বলছে। মুখে লাগাম নেই। কুৎসা, মিথ্যাকথা। ’’
মমতা বলেন, ‘‘দু’বার ভোটে জিতে এত মিথ্যা কথা! আজও বলছেন মিথ্যা যে, মুসলিমরা জিতলে তফসিলিদের সংরক্ষণ কেড়ে নেবে। আমার প্রতিশ্রুতি, কোনও মুসলিম আপনাদের সংরক্ষণ কাড়বে না। আমারও কাড়ার অধিকার নেই। এটা বিজেপির মিথ্যা কথা। কেউ সংরক্ষণ কাড়তে পারে! নাম কেউ কাড়তে পারে! দেশে কি আইনকানুন নেই! বাড়তে পারে, কিন্তু কমবে না। জনজাতি, অনগ্রসর শ্রেণি, সংখ্যালঘু, সকলের সংরক্ষণ থাকবে। না জেনে কথা বলেন।’’
বারাসতে সিপিএমকেও কটাক্ষ করেন মমতা। জানান, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে থাকার পর থেকে জেলায় সক্রিয় হয়েছে সিপিএম। নাম না করে কটাক্ষ করেছেন সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে। সিপিএমকে ভোট না দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
Be the first to comment