১৩ জন পুলিশকর্মীদের নৃশংস ভাবে খুন করেছিল আন্দোলনকারীরা..

Spread the love

অমৃতা ঘোষ :- সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় ঢুকে ১৩জন পুলিশ কর্মীকে আন্দোলনকারীরা হত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল রবিবারই। এবার সামনে এল, সেই খুনের নির্মম বর্ণনা। জানা গেছে, হামলার মুখে আত্মসমর্পণ করতে চেয়েছিলেন থানায় কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা। কিন্তু তাতে এতটুকুও নরম হয়নি আন্দোলনকারীরা। শেষমেশ প্রাণে বাঁচতে প্রায় ৪০ জন পুলিশ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। থানার ছাদে, পাশের বাড়িতে, শৌচাগারে লুকিয়ে পড়েন কয়েকজন। সব জায়গা থেকে খুঁজে এনে ১৪ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

এলাকাবাসীরা এই ঘটনার কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, হামলাকারীরা সকলেই অপরিচিত। সিরাজগঞ্জ শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে বেলকুচি, শাহাজাদপুর ও চৌহালী উপজেলার সীমান্তবর্তী কিছু এলাকা নিয়ে গঠিত এনায়েতপুর থানা। এই থানার শীর্ষকর্তা শাহিনুর আলম। তিনি গুরুতর চোট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

রবিবার বেলা সাড়ে ১০টার আচমকা একটি বিক্ষোভ মিছিল এসে থানার মধ্যে পাথর ছুড়তে থাকে। বারণ করা হলে তারা এলাকা থেকে চলেও যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবারও একটি মিছিল এসে থানার মধ্যে পাথর ছুড়তে শুরু করে। বারণ করলেও শোনেনি তারা। বাধ্য হয়ে সেই মিছিলে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করা হয় থানার তরফে। এরপরে আবারও ফিরে যায় তারা। তবে দুপুর একটা নাগাদ ফের ততীয় দফায় ফিরে আসে মিছিল, পাথর ছুড়তে ছুড়তে ঢুকে পড়ে থানায়। কাঁদানে গ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছুড়েও কোনও লাভ হয়নি। প্রায় চার-পাঁচ হাজার লোক মিলে ঘিরে ফেলে থানা। থানার প্রতিটা ঘরে, আসবাবে, গাড়িতে, বাইকে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। আশপাশের প্রতিটা বাড়িতে তল্লাশি করে খুঁজে বের করে আনে পুলিশদের। ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয় ও ১ জন উদ্ধারের পর হাসপাতালে মারা যান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*