একুশের নির্বাচনে জয়ের পর এই প্রথমবার জঙ্গলমহলে পা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঝাড়গ্রামকে নতুন জেলা করেছি। ঝাড়গ্রামে ৯৫ শতাংশ মানুষকে পরিষেবা দিয়েছি। আদিবাসী উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে। ঝাড়গ্রামে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে। মাওবাদী হানায় মৃতদের পরিবারকে চাকরি দিয়েছি। আদিবাসীদের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না’।
মমতা এদিন আরও বলেন, ‘ঝাড়গ্রামে ১০০ শতাংশ বৈদ্যুতিকরণ হয়েছে। আদিবাসীদের জমি হস্তান্তর করা যাবে না। আইন তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। সারা দেশেও এই আইন চালু করা হোক। আদিবাসীদের জন্য আলাদা দফতর তৈরি করেছি’। অন্যদিকে, এদিন ঝাড়গ্রামে ধামসা-মাদলের তালে আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে পা মেলান। মমতাকে ঐতিহ্যবাহী ‘পাঞ্চি’ শাড়ি পরিয়ে স্বাগত জানায় আদিবাসী সমাজ। ওই শাড়ি পরেই আদিবাসী নৃত্যে পা মেলান তিনি। শেষে ধামসাও বাজান মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি এদিন আদিবাসী সমাজের বীর শহিদ সিধু-কানহুর ছবিতে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠান মঞ্চে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, মানস ভুঁইয়া, বিধায়ক দুলাল মুর্মু ও শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান বীরবাহা টুডু। করোনা বিধি মেনে সীমিত সংখ্যক অতিথি নিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিন সবুজ সাথী, কন্যাশ্রী, জয় জোহর প্রকল্পের আওতায় ১৯ জনের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক কৃতী ১৩ জনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বিভিন্ন কাজে নজির গড়ার জন্য জেলার ১৭ জনকে সংবর্ধনা দেন তিনি।
এরপর ঝাড়গ্রামে প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নেবেন বলে নবান্ন সূত্রে খবর। সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন পর্যটন উন্নয়ন নিগমের রাজবাড়ি ট্যুরিস্ট কমপ্লেক্সের ‘সুবর্ণরেখা’য়। মঙ্গলবার সকালে ঝাড়গ্রামে থেকে ঘাটালে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে যাওয়ার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
উল্লেখ্য, এদিন হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে রওনা দেন তিনি। যাওয়ার সময় আকাশপথে পরিদর্শন করেন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের প্লাবিত এলাকা।
Be the first to comment