আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন কেজরিওয়ালের

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- আবগারি কেলেঙ্কারি মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আজ সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। সেখানেই স্বস্তি দেওয়া হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। এদিকে বেশ কিছু বিষয় সুপ্রিম কোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে রেফার করেছে। এদিকে জামিন পেলেও আপাতত জেলেই থাকতে হবে কেজরিকে। কারণ তিনি সিবিআইয়ের হাতেও গ্রেফতার হয়েছেন কয়েকদিন আগে। সম্প্রতি আদালত কক্ষেই দিল্লির আবগারি নীতি কেলেঙ্কারি মামলায় অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এর আগে ইডি তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। সেই মামলায় হাই কোর্টে প্রথমে জামিন পেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। তবে পরে সেই জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে কেজরিওয়ালের দিল্লি সরকার মদ বিক্রির নয়া নীতি কার্যকর করেছিল। তবে কয়েকদিন পরই সেই নীতি বাতিল করা হয়েছিল। এরই মাঝে অভিযোগ ওঠে, সেই নীতির অধীনে নির্দিষ্ট কিছু মদ ব্যবায়ীর থেকে ঘুষ নিয়ে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। মদ বেচার লাইসেন্সের জন্য ডিলাররা ১০০ কোটি টাকার ঘুষ দিয়েছিল আম আদমি পার্টিকে। এদিকে এই গোটা ঘটনায় তেলঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে কে কবিতার সরাসরি যোগ ছিল বলে দাবি। ইডি অভিযোগ করেছে, কবিতার মদতে দক্ষিণ ভারতে অনেক সংস্থা আপ-কে ঘুষ দিয়ে দিল্লিতে মদ বিক্রির লাইসেন্স পেয়েছিল। আর এই গোটা লেনদেনের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন বর্তমান রাজসাক্ষী রেড্ডি। এই আবহে দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় আম আদমি পার্টিকে ‘কোম্পানি’ আখ্যা দিয়েছিল ইডি। শুধু তাই নয়, দাবি করা হয়েছিল, এই গোটা দুর্নীতির মাথা নাকি অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেই।
এর আগে কেজরিওয়ালের যে জামিনের আর্জি জানানো হয়েছিল, তা নিয়ে দীর্ঘ সওয়াল-জবাব চলে দিল্লির আদালতে। দিল্লি আবগারি দুর্নীতি মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তদের সঙ্গে কেজরির যোগসূত্র আছে বলে তুলে ধরার চেষ্টা করে ইডি। পালটা কেজরির আইনজীবী দাবি করেন যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণই নেই কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে। সেই সওয়াল-জবাবের পরে প্রাথমিক ভাবে রায়দান স্থগিত রাখেন বিচারক। পরে বিচারক শর্তসাপেক্ষে কেজরির জামিন মঞ্জুর করেন। তিনি নির্দেশ দেন যে তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোনওরকম বাধা তৈরির চেষ্টা করতে পারবেন না কেজরি। কোনও সাক্ষীকে প্রভাবিত করতে পারবেন না। সেইসঙ্গে যখনই প্রয়োজন হবে, তখনই আদালতে হাজিরা দিতে হবে। তদন্তেও কেজরিকে সহযোগিতা করতে হবে বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছিল দিল্লির আদালত।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*