চিরন্তন ব্যানার্জি :- অতি বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত তারাপীঠের মহাশ্মশানও! শনিবার বন্ধ করা হলো দেহ সৎকারের কাজ।
গত দুদিন টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। কোথাও হাঁটুসমান জল, কোথাও আবার কোমরসমান জল। বীরভূমেরও বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। এবার বাদ পড়ল না তারাপীঠের মহাশ্মশানও। অতিবৃষ্টির কারণে শ্মশানের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া দ্বারকা নদীর জলস্তর বেড়েছে। ফলে নদী থেকে জল উপচে ঢুকে পড়েছে তারাপীঠ শ্মশানে। শ্মশানের বিভিন্ন জায়গা পুরো জলের তলায়। জানা যাচ্ছে, আবার কোথাও কোথাও জমা জলের গভীরতা প্রায় আড়াই ফুট। যার জেরে আপাতত বন্ধ করা হলো শ্মশানের দেহ সৎকারের কাজ।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যার জেরে প্রতিটি এলাকায় নদীর জলস্তর বাড়ছিল। বৃহস্পতিবার বিকেলের পর থেকে বীরভূমের রামপুরহাটে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। স্থানীয় সূত্রের খবর, টানা বৃষ্টির জেরে দ্বারকা নদীর জলস্তর বেড়ে বিপত্তি ঘটেছে। শুক্রবার গভীর রাত থেকে নদী উপচে পড়ে, শনিবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে জলের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় নদীর পার ছাপিয়ে জল ঢুকে পড়েছে তারাপীঠ মহাশ্মশানে। শ্মশানের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় এক কোমর সমান জল দাঁড়িয়ে রয়েছে।
শুধু তারাপীঠ মহাশ্মশান নয়, বীরভূমের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। দ্বারকা নদীর পাশাপাশি ময়ূরাক্ষীর মতো নদীরও জলস্তরও বেড়েছে। নদীগুলিতে জলস্তর বেড়ে যাওয়ার কারণে শুক্রবার বীরভূমের একাধিক রাস্তায় জল জমে গিয়েছিল। বন্ধ সাঁইথিয়া ফেরিঘাট। বন্ধ রয়েছে জয়দেবের কাছে অজয় নদীর উপর ফেরিঘাটও। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
সূত্রের খবর, ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে গত চারদিন ধরে বিপর্যস্ত রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের পরিষেবা। বন্ধ রয়েছে সিটি স্ক্যান, এক্স-রে পরিষেবাও। ফলে চিকিৎসা করাতে এসে বিপাকে পড়েছেন রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়েরা।
তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমায় জলস্তরও নামতে শুরু করেছে। ফলে আবার যদি ভারী বৃষ্টি না হয়, তবে সব পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করা সম্ভব হবে।
Be the first to comment