নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে আছেন এবং তাঁর আদরের সিপিকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন” ধর্না মঞ্চ থেকে বললেন সুকান্ত

Spread the love

চিরন্তন ব্যানার্জি:-

কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতিতে বুধবার শর্তসাপেক্ষে ৫দিন বেলা ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শ্যামবাজার মেট্রোর ১ নম্বর গেটের সামনে ধর্নায় বসে বঙ্গ বিজেপি। এদিন ওই ধর্না মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন “রাজ্যের নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে আছেন এবং তাঁর আদরের সিপিকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।”
মঙ্গলবার দেশের উচ্চ আদালত নির্দেশ দেয় আরজি কর হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় বাহিনীর। এরপরই বুধাবার আরজি কর হাসপাতালের সুরক্ষার দ্বায়িত্বভার কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ায় সুকান্ত মজুমদার বলেন, “দেশের উচ্চ আদালত ওয়ান পার্সেন্টও রাজ্য প্রশাসনের উপর বিশ্বাস করে না। এরপরেও রাজ্যের নির্লজ্জ মুখ্যমন্ত্রী পদে বসে আছেন এবং তার আদরের সিপিকে কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।” তিনি আরও বলেন, “গতকাল দেশের উচ্চ আদালত যে প্রশ্নগুলো করেছেন তার উত্তর কেউ দিচ্ছেন না কেন।” এদিন তিনি বলেন রাজ্যে কোনো গণতন্ত্র নেই তাই বাংলায় যেকোনো রাজনৈতিক আন্দোলন করতে গেলে আদালতের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। আজকের বিজেপির ধরনা মঞ্চ থেকে সুকান্ত মজুমদার স্লোগান তোলেন, “রাজ্যজুড়ে ধর্ষণ, তোমার নেই প্রয়োজন”। এদিন বলেন, ঘরের লক্ষ্মীই যদি না থাকে, কার জন্য লক্ষী ভান্ডার নেবো? কার জন্য লক্ষীর ভান্ডার রাখবো?
এদিনের ধরনা মঞ্চ থেকে বড়সড় অভিযোগ তুললেন কেন্দ্রের প্রতি মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার, তিনি বলেন, আরজিকরের যে ময়নাতদন্ত হয়েছে সেটা অবৈধ। কারণ সন্ধ্যা বেলা এই ময়নাতদন্ত হয়েছে। তাড়াহুড়ো করে কেন ময়নাতদন্ত করা হলো এবং তাড়াহুরো করে কেনো বডিও পুড়িয়ে দেওয়া হল। তথ্যপ্রমাণ লোপাটেরও কথা বলেন তিনি।
এদিন তিনি বিস্ফোরক দাবি করেন, আরজি করের বেশ কিছু ইন্টার্নের এসবিআই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তৃণমূল নেতাদের টাকা লেনদেন হয়েছে। এই বিষয়টি পুলিশ দেখুক।
অন্যদিক, এদিন ধর্না মঞ্চে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এসে বলেন, তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ওই বোনটি ওষুধ পাচার সম্পর্কে জেনে গিয়েছিল ৷ সন্দীপ ঘোষের কুকর্ম জেনে গিয়েছিল ৷ সন্দীপ ঘোষের কুকর্ম জেনে গিয়েছিল ৷ ড্রাগ ব়্যাকেট জেনে ফেলেছিল৷ তাঁকে খুন করার উদ্দেশ্যেই এই পরিকল্পনা ৷’’ এই বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হয় বলে জানানো বলেও শুভেন্দু জানিয়েছেন ৷
বিরোধী দলনেতার দাবি, চিকিৎসার সরঞ্জাম কেনাকাটার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চিকিৎসক এসপি দাস । আর এইসব প্রমাণ এবং তথ্য লোপাট করার জন্যই এই সিট গঠন করা হয়েছে । না হলে সিটে অর্থ বিভাগের লোকজন কেন থাকবেন ? একই সঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, একাধিক চিকিৎসক ‘অভয়া’র দেহ উদ্ধারের পর কেন গিয়েছিলেন?

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*