পরিকল্পনা মতোই ১৫ বোতল বিষ মেশানো হয়েছিলো কর্নাটকের মন্দিরের প্রসাদে

Spread the love

পরিকল্পনা করেই ১৫ বোতল বিষ মেশানো হয়েছিল কর্নাটকের কিচাগুট্টির মারাম্মা মন্দিরের প্রসাদে। ঘটনার মূলচক্রী মন্দিরের প্রধান পূজারী মহাদেশ্বারা স্বামী ও তার তিন শাগরেদ। ধীরে ধীরে খুলছে বিষ প্রসাদের রহস্যের জট। গত শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে কর্ণাটকের সুলিভাদি গ্রামের কিচ্চাগুটি মারাম্মা মন্দিরে। বিষাক্ত প্রসাদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্ছিলেন প্রায় ১২০। শুধু তাই নয়, ওই প্রসাদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছে একাধিক কাকেরও।

ফরেন্সিক পরীক্ষার রিপোর্ট বলছে, প্রসাদে মোনোক্রোটোফোস ও অরগ্যানোফসফেট নামে দু’টি রাসায়নিকের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। ঘটনায় আটক করা হয়েছিল মন্দির পরিচালন কমিটির সদস্য-সহ সাতজনকে। যাদের মধ্যে রয়েছেন প্রধান পূজারি মহাদেশ্বারা স্বামী ও তার তিন শাগরেদ। স্থানীয় সুলভারি থানার শীর্ষ আধিকারিক কেভি শরথ চন্দ্র জানান, ভোগ রান্না হয়ে আসার পর বিতরণের আগেই বোতল কীটনাশক মেশানো হয়।

মূলত মন্দিরের বদনাম ও ভক্তদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যই এমনটা করা হয়। কারণ একসময় মন্দিরের সর্বময় কর্তা ছিলে ৫২ বছরের ওই পূজারী। মন্দির ট্রাস্টের প্রধান পরিচালক ছিলেন তিনি। কিন্তু, মন্দিরকেকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। জেলাশাসকের নির্দেশে সরিয়ে দেওয়া হয় মহাদেশ্বারাকে। ফলে হাত ছাড়া বিপুল অর্থ আত্মসাতের সুযোগ। সেই রাগেই প্রসাদে কীটনাশক মেশান তিনি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*