”প্রিয়দার কাছে খেয়েছি বকুনি ,খেয়েছি কানমলা ,তবু তিনি বড় প্রিয়”। দক্ষিন কলকাতার রানী ভবানী রোডে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির বাসভবনে ফুল দিয়ে তাঁর প্রিয়দাকে শ্রদ্ধা জানানোর পর একথা বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রিয়দার স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে পার্থ চ্যাটার্জি হয়ে পড়েন আবেগ বিহ্বল। শববাহী শকট যখন বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে তখন শুধু কংগ্রেস নেতা কর্মী নন, পার্থ চ্যাটার্জি, নির্বেদ রায়, মালা রায়, দেবাশিস কুমার প্রত্যেকেরই তখন চোখ ছলছল করছিল। আসলে প্রিয়রঞ্জন রাজনৈতিক নেতা হয়েও রাজনীতির উর্ধ্বে নিজের একটা স্বতন্ত্র ভাবমূর্তি তৈরী করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাই প্রতাপাদিত্য রোড, রানী ভবানী রোডের সংযোগস্থলে আমরা যখন দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন বহু পথচলতি মানুষ প্রিয়দাকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক বয়স্কা মহিলা বলছিলেন আমরা রাজনীতি করিনা। কিন্তু যখনই কোনও সাহায্যের জন্য প্রিয়বাবুর কাছে এসেছি, পেয়েছি সুমধুর ব্যবহার। যথাসাধ্য চেষ্টাও করেছেন পাশে দাঁড়াতে।
Be the first to comment