অমৃতা ঘোষ :- শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের কানপুরে এক নাবালকের দ্রুতগামী গাড়ির ধাক্কায় স্কুটার থেকে ছিটকে পড়ে গিয়ে ঘটলো এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
ফের বিলাসিতার আড়ালে বিপর্যয়। বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় রাস্তায় শিকার হলেন এক হতভাগ্য মা ও মেয়ে। তাঁর নাবালিকা মেয়েও গুরুতর আহত হয়েছে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে।
শহরের সাকেত নগর রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই ৩০ বছরের ভাবনা মিশ্রর মৃত্যু হয়। তাঁর মেয়ে, ১২ বছরের মেধবী মিশ্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার শরীরের একাধিক হাড় ভেঙে গিয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
জানা গিয়েছে, এক ডাক্তারের ক্লিনিক থেকে স্কুটারে করে বাড়ি ফিরছিলেন মা আর মেয়ে। সেই সময়ই ঘটে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় দ্রুতগামী গাড়িটির স্টিয়ারিংয়ে ছিল এক নাবালক চালক। ১৭ বছরের কিশোরটি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। গাড়িটিতে তাঁর সঙ্গে আরও তিনজন নাবালক ছিল। তারা সকলেই স্কুলে যাওয়ার নাম করে ওই গাড়িটি নিয়ে রাস্তায় ফুর্তি করছিল। গাড়ির বিভিন্ন স্টান্ট করার চেষ্টা করছিল। দুর্ঘটনায় গাড়ির সওয়ারি চারজনই ছোটখাটো আঘাত পেয়েছে। কানপুরের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ADCP), অঙ্কিত শর্মা জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই ওই নাবালক চালক এবং তার বাবাকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নিহত ভাবনা মিশ্রর স্বামী, অনুপ মিশ্র তাদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে, ওই কিশোর চালকের বিরুদ্ধে হত্যা এবং বেপরোয়া গাড়ি চালনা-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটির একটি সিসিটিভি ফুটেজ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, একটি লাল রঙের স্কুটারে চড়ে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন হতভাগ্য মা আর মেয়ে। মা স্কুটারটি চালাচ্ছেন, পিছনে বসে রয়েছে মেয়ে। একটু পরেই দেখা যায়, একটি দ্রুতগামী গাড়িটি হঠাৎ করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তায় পিছলে গিয়ে সজোরে ধাক্কা মারছে স্কুটারটিকে। আরেক ক্যামেরা অ্যাঙ্গেলে ধরা পড়েছে ধাক্কা লাগার পরের ঘটনা। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সংঘর্ষ এতটাই জোরালো ছিল যে, ওই মহিলা এবং তাঁর মেয়ে দুজনেই স্কুটার থেকে ছিটকে যায়। তাদের স্কুটারটিও মাটিতে ছেঁচড়ে এসে ধাক্কা মারে ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকা আরেকটি মোটরবাইকে।
Be the first to comment