ভাটপাড়ার জনসভায় তৃণমূলকে সন্দেশখালি সহ একাধিক বাণে বিদ্ধ করলেন প্রধানমন্ত্রী

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :- চতুর্থ দফা ভোটের আগে ফের বঙ্গে প্রচারের জন্য এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী । রবিবার ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে ভাটপাড়ার জগদ্দলে সভা করতে আসেন।
ব্যারাকপুরে এসেই প্রথমে “কেমন আছেন ব্যারাকপুরবাসী” বলে সৌজন্য বিনিময় করলেন আর বলেন “বাংলায় উন্নয়ন দরকার। তাই ব্যারাকপুর থেকে অর্জুন সিং কে জেতাতে হবে।”
আগামী ২০ মে পঞ্চমদফায় ভোট রয়েছে ব্যারাকপুরে। মোদীর কথায়, “পূর্ব ভারতের গুরুত্ত্বপূর্ণ রাজ্য বাংলা। এখানে এবার অন্যরকম পরিস্থিতি। গতবারের সাফল্যকে ছাপিয়ে যাবে বিজেপি।”
তাঁর বক্তব্যে ভারতের পূর্ব দিকের রাজ্য নিয়ে তিনি চিন্তিত। তাঁকে বলতে শোনা যায় স্বাধীনতার পর প্রায় ৫০ বছর কংগ্রেস সরকার চালিয়েছে, কিন্তু বাংলা পেয়েছে শুধু গরিবী। এখানকার বন্ধ কারখানা ভাজপা সরকার আবার শুরু করিয়েছে।
তৃণমূল এবং সিপিএমকে এক বন্ধনীতে রেখে মোদী বলেন, “‘বাংলায় রামনবমী পালন করতে দেয় না, রামের নাম নিতে দেয় না তৃণমূলের সরকার। কংগ্রেস আর বামফ্রন্টও রামনবমীর বিরুদ্ধে। এমন লোকজনের হাতে এই মহান দেশ তুলে দেওয়া যায় কি?”
তাঁর বক্তব্যে বাংলায় “তৃণমূল সরকার রামনবমী পালন করতে দেয় না। অপরদিকে কংগ্রেস ও বামেরা রাম মন্দির নিয়ে মোর্চা খুলে বসেছে।”
খানিক থেমে জবাবও দিয়েছেন নিজেই, “কংগ্রেসের আমলে দেশে দারিদ্রতা বেড়েছিল। আর তৃণমূল বাংলাকে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছে। চোরেদের জেলে ভরতেই হবে।”
তিনি আরো বলেন “গঙ্গা মায়ের আশীর্বাদে বাংলায় জুট, ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প ফুলে ফেঁপে উঠত। কিন্তু তৃণমুল সরকার জুট নিয়ে ঝুট বলতে শুরু করে।”
জনতার উদ্দেশে মোদী বলেন, “তৃণমূল বলে কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না। আপনারা মন দিয়ে শুনুন, কিছুদিন আগে সিএজি রিপোর্ট আসে ২ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার কোনও হিসেব দেয়নি তৃণমূল। তৃণমূল যে কত বড় দুর্নীতিগ্রস্ত দল, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ শিক্ষক দুর্নীতি। এরা সরকারে থেকে চাকরি বিক্রি করেছে! কত বড় দুর্নীতি ভাবুন।”
ভাটপাড়ার সভা থেকে বাংলার মানুষের জন্য এদিন পাঁচটি গ্যারান্টিও শোনান মোদী। বলেন, “বিজেপি ক্ষমতায় এলে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়া হবে না, তফসিলি জনজাতির সংরক্ষণ কেউ শেষ করতে পারবে না, রামনবমী পালন করতে বা রামের পুজোয় কেউ বাধা দিতে পারবে না, রামমন্দিরে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত কেউ বদলাতে পারবে না এবং সিএএ কেউ বন্ধ করতে পারবে না।”
বিকশিত ভারতের জন্য, বিকশিত বাঙলার প্রয়োজনে এখানকার কৃষক ভাইদের সাহায্য দরকার। “জয় শ্রী রাম, ভারত মাতা কি জয় ” বলে সভা শেষ করেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*