রোজদিন ডেস্ক :- সপ্তম দফার ভোটপর্ব শেষে খোদ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন এবার লোকসভা নির্বাচনে তেমন বড় কোনও অশান্তি হয়নি। ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর অশান্তি হতে পারে, সেই সম্ভাবনা থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের মেয়াদও বাড়ানো হয়। সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হল! মঙ্গলবার রাত থেকেই বিরোধী শিবিরের দাবি, বঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে তাঁদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় তৃণমূল। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক শিবির।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত নরেন্দ্রপুর থেকে মিলেছে সন্ত্রাসের খবর। সেখানে বিজেপি প্রার্থীর পোলিং এজেন্টকে মারধর এবং বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বেহালার রবীন্দ্রনগরে বিজেপি নেতার দোকানে তাণ্ডবের অভিযোগ। কাঠগড়ায় শাসক শিবির। যদিও সে অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
জেলায় জেলায় মিলেছে অশান্তির খবর। অর্জুন সিংকে হারিয়ে বারাকপুরে জয়ধ্বজা উড়েছে তৃণমূলের। বিপুল ভোটে জিতেছেন পার্থ ভৌমিক। মঙ্গলবার বারাকপুর পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয় মিছিল বার করেন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা। অভিযোগ, ওই মিছিল থেকে বিজেপি কর্মী বাবু নাগের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। তাঁর বাড়িতে কাচের বোতল ও ইট ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় আতঙ্কে গোটা পরিবার।
মধ্যমগ্রামেও উঠেছে একই অভিযোগ। নেতাজিপল্লিতে একাধিক বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলেই অভিযোগ। ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, লোহার রড, বাঁশ, বন্দুক হাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের বাড়িতে হামলা চালায়। বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয় বলেও অভিযোগ। বেশ কয়েকজনকে মারধর করা হয় বলেও দাবি। অশান্তির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কেন্দ্রীয় বাহিনী-সহ দত্তপুকুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া দুর্গাপুরের মহুয়াবাগানে সিপিএমের পোলিং এজেন্টের বোনের দোকানেও আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া ময়না এবং বাঁকুড়ার পাত্রসায়রেও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
উত্তরবঙ্গেও চলছে অশান্তি। কোচবিহারে এবার আর আসন ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। তৃণমূলের কাছে পর্যুদস্ত নিশীথ প্রামাণিক। নির্বাচনে পরাজয়ের পর ডাওয়াগুড়ির ভজনপুর এলাকায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা , ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোঁটা নিয়ে তৃণমূলের উপর হামলা চালায়। এই ঘটনায় অন্তত চারজন তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন। তবে এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ।
Be the first to comment