মিললো না জায়ান্ট স্ক্রিন, ত্রিপুরায় শহিদ দিবস পালনে বাধা পেল তৃণমূল

Spread the love

একুশে জুলাই ত্রিপুরায় শহিদ দিবস পালনে বাধা পেল তৃণমূল। এ বার তারা রাজ্যের পাশাপাশি দেশের একাধিক রাজ্যে ভার্চুয়ালি শহিদ দিবস পালনের কথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল। বুধবার দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালীঘাট থেকে ভাষণ দেন। আর জায়ান্ট স্ক্রিনের মাধ্যমে তা সরাসরি সম্প্রচারিত হলো একাধিক রাজ্যে কিন্তু ২১ জুলাই উদযাপনের আগের রাতেই ত্রিপুরায় বাধাপ্রাপ্ত হল এ রাজ্যের শাসকদল।

দলীয় সূত্রের খবর, ত্রিপুরায় তৃণমূলকে জায়ান্ট স্ক্রিন সরবরাহ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে । ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার দুপুরে। কোভিড বিধি মেনে ৫০ জনের জমায়েত করেই তৃণমূল নেত্রীর ভাষণ শোনানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় কিন্তু বাধ সাধে জায়ান্ট স্ক্রিন অ্যাসোসিয়েশন। তৃণমূলের কর্মসূচির জন্য জায়ান্ট স্ক্রিন সরবরাহ করতে অস্বীকার করে এই সংগঠন। জেলাশাসকের লিখিত অনুমতি না পেলে জায়ান্ট স্ক্রিন দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। ত্রিপুরায় বেলা ২টো থেকে করোনা বিধিনিষেধের কারণে কার্ফু জারি হয়ে যায়, এই অবস্থায় কর্মসূচির জন্য অনুমতি দিতে চাইছে না জেলাশাসক ৷

ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইটারে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি।

যদিও এখনই হার মানতে চাইছেন না কর্মীরা। জানা গিয়েছে, ২১ জুলাই জায়ান্ট স্ক্রিন ব্যবহারে বাধা পেলে প্রজেক্টর ব্যবহার করতে পারেন তাঁরা। ত্রিপুরা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি আশিস লাল সিং জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা যায়নি। অগত্যা বিকল্প হিসেবে পর্দা ও প্রজেক্টরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এ বারের ২১ জুলাই পালনে ত্রিপুরাকে আলাদা গুরুত্ব দিয়েছে তৃণমূল কারণ পড়শি রাজ্যে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমেই তৃণমূল নিজেকে জাতীয় স্তরে প্রসারিত করতে চাইছে। সেই মতো আগেভাগে ডাক পাঠানো হয়েছিল আশিস লাল সিং-কে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ত্রিপুরাতেও বিজেপিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে জাতীয় স্তরে যে বার্তা যাবে তাতে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সুবিধা হবে।

দ্বিতীয়ত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে একমাত্র বিজেপি বিরোধী মুখ সেটাও বুঝিয়ে দেওয়া যাবে। তাই ত্রিপুরায় এখন থেকেই সংগঠনের ঝাঁজ বাড়াতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এই রাজ্যে একুশে জুলাই পালনের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াল করোনা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*