মোদী জিতে আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলে পুরবেন : কেজরিওয়াল

রোজদিন ডেস্ক :- জামিনে মুক্তির পর শনিবার দিল্লিতে স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়ালকে নিয়ে প্রথম প্রচারে বেরোন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
সেখানে প্রচারে বেরিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তিনি বলেন যে , “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো বিরোধী নেতানেত্রীদের জেলে পুরবেন। শুধু বিরোধী নেতৃত্ব নয়, নিজের দলের যোগী আদিত্যনাথের মতো নেতাকেও শেষ করে দেবেন।”
সকালে প্রথমে হনুমান মন্দির, তারপর নবগ্রহ মন্দিরে পুজো দিয়ে একটি রোড শো শুরু করেন তিনি। তারপর একটি সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন কেজরিওয়াল।
জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে এই প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি আসেন তিনি। তাঁর বিস্ফোরক উক্তি, বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কেবলমাত্র বিরোধী নেতৃত্বকে জেলে পুরবেন তাই নয়, নিজের দলের নেতাদেরও শেষ করে দেবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কেজরিওয়াল সাংবাদিক সম্মেলন থেকে সরাসরি বলেন, “সব বিরোধী দলনেতা যেমন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এমকে স্ট্যালিনকে জেলে পোরা হবে। ওরা ক্ষমতায় এলে কোনও বিরোধী দলের নেতা বাইরে থাকবেন না। জেলে ভরে সকলকে শেষ করে দেবেন মোদী। আমাদের মন্ত্রীরা, হেমন্ত সোরেন, মমতার মন্ত্রীরা জেলে থাকবেন, যদি ওরা আবার ক্ষমতায় আসে।
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, স্ট্যালিন, তেজস্বী যাদব, পিনারাই বিজয়ন, উদ্ধব ঠাকরের জেলে ঢোকার পালা আসবে।”

কেজরির দাবি, “ভোট মিটলেই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো নেতাদের ধুলোয় মিশিয়ে দেবেন মোদী সরকার।
মোদী এক দেশ, এক নেতা অভিযান শুরু করে দিয়েছেন। আর সে কারণে আদিত্যনাথের মতো নেতারও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ শেষ করে দেবেন। লালকৃষ্ণ আদবানি, মুরলিমনোহর জোশি, শিবরাজ সিং চৌহান, বসুন্ধরা রাজে, মনোহরলাল খট্টর, রমন সিংকে উনি শেষ করেছেন। এরপর পালা আদিত্যনাথের। যদি মোদী ফের ক্ষমতায় আসেন, তাহলে দুমাসের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বদল করে দেবেন।”

কেজরিওয়াল আরোও বলেন, “আমাদের দেশ অনেক প্রাচীন। যখনই কোনও একনায়ক ভারত দখলের চেষ্টা করেছে, তখনই দেশবাসী তার মূল উপড়ে দিয়েছে। আজ ফের একজন একনায়ক গণতন্ত্রকে খতম করতে চাইছেন। আমি তাই ১৪০ কোটি মানুষের কাছে ভোটভিক্ষা করতে এসেছি…”
মোদী-শাহ জুটিকে আক্রমণ করে কেজরি আরও বলেন,” আপনারা দেখেছেন কীভাবে এই দুজন বিজেপির ভিতরেই একনায়কতন্ত্র গড়ে তুলেছেন। ভোটের আগে নিজেদেরই কতজন মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি কেড়ে নিয়েছেন। যাতে আর কোনওদিন তাঁরা উড়তে না পারেন, তার জন্য তাঁদের ডানা ছেঁটে ফেলা হয়েছে।”