যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যু ঘিরে কার্যত তোলপাড় হয় বাংলা। প্রাথমিকভাবে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তড়িঘড়ি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ থেকে শুরু করে একাধিক বিধি-নিষেধ কার্যকর করার ঘটনাও লক্ষ্য করা যায়। ঘটনার রাতে ঠিক কী হয়েছিল তা জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের (JU Authority) তরফে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি (Internal Investigation Committee) গঠন করা হয়। সেই কমিটির জমা দেওয়া ৪৬ পাতার রিপোর্ট প্রকাশে আসতেই চোখ কপালে উঠেছে কর্তৃপক্ষের। জানা যাচ্ছে এই ঘটনায় ১৩৬ জন পড়ুয়ার যোগ থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন প্রাক্তন পড়ুয়ার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানানোর সুপারিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। র্যাগিং-এর ঘটনায় চারজন সরাসরি যুক্ত থাকার কারণে, তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার পর তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে পূর্ণাঙ্গ আলোচনা করতে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর যাদবপুরে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে তদন্ত কমিটির পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী কোন কোন পড়ুয়ার ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেয়া হবে সেই সম্পর্কিত আলোচনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্রে খবর যাঁদের নাম উল্লেখ করা আছে তার মধ্যে ১১ জন পড়ুয়ার এই ঘটনায় যুক্ত থাকার জন্য দু’টি সেমিস্টার থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ এবং হস্টেল থেকে চিরকালের মতো বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। ১৫ জন পড়ুয়াকে একটি সেমিস্টার থেকে বহিষ্কারের কথাও রিপোর্টে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ৯৫ জন পড়ুয়াকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশের সঙ্গে সতর্ক করার কথাও উল্লেখ আছে।
Be the first to comment