রাজ্যসভার দুটি আসন খালি হয়েছে। তার মধ্যে একটি আসনের নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। সেই আসনটি দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসন। আগামী ৯ অগস্ট এই আসনে নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর আগামী বুধবারই দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে রাজ্যসভার প্রার্থী ঘোষণা করে দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। অনেক নামের ভিড় থাকলেও সূত্রের খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার প্রার্থী পদে মুকুল রায়কে তুরুপের তাস করা হতে পারে।
ইতিমধ্যেই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন মুকুল রায়। এই সাক্ষাতের কারণ হল, তিনি রাজ্যসভার প্রার্থী হলে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে। তাই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন তিনি বলে বিধানসভার অন্দরের খবর। আর যদি তা বাস্তবে হয়, তাহলে বিধানসভার পিএসি কমিটির চেয়ারম্যানের পদও ছাড়তে হবে। কারণ বিরোধী দলের নেতাকেই এই কমিটির চেয়ারম্যান করতে হয়। বিজেপি এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা করেছিল। আর তৃণমূল কংগ্রেস মুকুল রায়কে রাজ্যসভায় পাঠালে, এতদিন বিজেপিকে রাজনৈতিকভাবে “নাস্তানাবুদ” করা হলো বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
প্রসঙ্গত, আগামী পাঁচ বছর দলত্যাগ বিরোধী আইনের আঁচ পড়তে না দিয়ে টানা বিধায়ক পদে মুকুল রায়কে রেখে দেওয়া আইনত অসম্ভব। এমনকী বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি। আর মুকুলকে যদি পদত্যাগ করেন সেক্ষেত্রে লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শিশির অধিকারী ও সুনীল মণ্ডলের সাংসদ পদ খারিজের জন্যও বিস্তর চাপ দেওয়া হবে। সুতরাং অঙ্ক দাঁড়ালো একের বদলে দুই। যা বিজেপির পথেই বিজেপিকে বধ বলে মনে করা হচ্ছে।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, রাজ্যসভায় মুকুল রায়কে নিয়ে এলে দলের পক্ষ থেকে সংসদীয় রাজনীতিতে অংশ নেবেন তিনি। আবার সংগঠন তৈরির কাজটিও দেখতে পারবেন। আর মুকুল রায় বিধায়ক পদ থেকে সরে গেলে বিজেপিরই একজন বিধায়ক কমবে। তাতে আখেরে লাভ তৃণমূল কংগ্রেসের। সংখ্যার দিক থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকসানের কোনও কারণ নেই। আর বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আসা তৃণমূল কংগ্রেস কৃষ্ণনগরে আবার নির্বাচন হলে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
Be the first to comment