সমস্ত দক্ষিণবঙ্গ তথা উত্তরবঙ্গে অতিভারী বৃষ্টির জেরে জলমগ্ন, অচলাবস্থা..

Spread the love

অমৃতা ঘোষ :- রাজ্যের ওপর অবস্থান করছে মৌসুমী অক্ষরেখা, রয়েছে ঘূর্ণাবর্তের পূর্বাভাস। তার জেরে আজ দিনভর দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা এবং বিক্ষিপ্তভাবে অতি ভারী বৃষ্টি হবে বলে বেশ কয়েকটি জেলায় তা জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস।আজ অতি ভারী বৃষ্টির আওতায় পড়ছে হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম মেদিনীপুর। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে , এছাড়া হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও বাঁকুড়াতেও ভারী বৃষ্টির জেরে নাজেহাল বঙ্গবাসী।

বীরভূমের কংকালী তলা এলাকা রাতভর বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে আছে। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার সীমানায় থাকা ডাংরা নদীর জলে ভাসল একাধিক সেতু। সেতুগুলি জলের তলায় চলে যাওয়ায় দুই জেলার সংযোগকারী একাধিক রাস্তায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। এখনও লাগাতার বৃষ্টি চলছে বাঁকুড়ায়। স্বাভাবিকভাবেই পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন দুই জেলার মানুষ।

তবে শনিবার থেকে বৃষ্টি কমবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে রবিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি চলবে।

রাতভর বৃষ্টির জেরে শিল্প শহরের বেশ কিছু এলাকা এখন জলমগ্ন। বিশেষ করে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা সংলগ্ন মেন গেট এলাকা জলমগ্ন। বৃষ্টি না থামলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

দুর্গাপুরের পাশাপাশি রাজবাঁধের জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোড জলমগ্ন। পানাগরের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। কাঁকসার অনেক বাড়িতে রাত থেকেই জল ঢুকেছে। বর্ষা শুরুর আগে পঞ্চায়েত সেই ভাবে নিকাশি নালা গুলো পরিষ্কার না করায় এই দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।

এই পরিস্থিতিতে টানা বৃষ্টির জন্য নবান্ন সতর্কতা জারি করেছে, কারণ অতিরিক্ত বৃষ্টির জেরে নদীর জল ফুলে উঠছে, তাই ব্যারেজ গুলির দিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে গভীরভাবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*