নির্বাচন কাছে আসতেই নতুন করে সারদা তদন্তে গতি এসেছে। একের পর এক প্রভাবশালীদের তলব করা হচ্ছে। এবার মুম্বইতে ৬টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হল। সারদা তদন্তের সঙ্গে যোগ থাকার সূত্রেই এই ছয় জায়গায় তল্লাশি চালানো হল সোমবার। এর মধ্যে তিন সেবি আধিকারিকের বাড় ও অফিসেও তল্লাশি চালানো হয়েছে।
২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত কলকাতা অফিসে কর্তব্যরত ছিলেন এই আধিকারিকরা। সেই জন্যই তাঁরা সিবিআই নজরে এসেছেন। সারদা মামলায় সিকিউরিটিস অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়া (সেবি)-র বিরুদ্ধে সিবিআই–এর অভিযোগ ছিল, বেনিয়ম দেখলেও তাঁরা ব্যবস্থা নেননি। এ বার সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সেবির ৩ কর্তার অফিসে চালানো হল তল্লাশি।
সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ হয় সেবি-র ওই তিন অফিসারের। তাঁদের দাবি ছিল, সাধারণ মানুষকে ঠকিয়ে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে সারদা, রোজ ভ্যালি-র বিরুদ্ধে। সেই নজরদারি করার কথা যাঁদের, তাঁরা যদি অভিযোগ পেয়েও চুপ করে বসে থাকেন, তা হলে তাঁদেরও অপরাধ কম নয়।
ইতিমধ্যেই এই মামলায় মদন মিত্র, স্বপন সাধন বসু (টুটু বসু), সুরজিৎ কর পুরকায়স্থদেরও তলব করেছে ইডি। এছাড়া আগামী মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির অফিসে হাজিরা দিতে পারেন আহমেদ হাসান ইমরান। ইডি সূত্রে খবর, এক দৈনিক সংবাদপত্রে বিপুল বিনিয়োগ করেছিলেন সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। আর সেই সংবাদমাধ্য়মের সম্পাদক ছিলেন ইমরান।
Be the first to comment