রোজদিন ডেস্ক :- দুরন্ত ইস্টবেঙ্গল। তারা স্মরণীয় করে রাখল শনিবারের বিকেলের যুবভারতী। চির প্রতিপক্ষ মোহনবাগানকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিয়েছে লাল হলুদ।
মাঠে খেলার দৃশ্য ছিল খানিকটা এইরকম , যখন দুই গোলে এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল তখন তারা গোল করেছে ৫০ এবং ৬৪ মিনিটে। গোলদাতা পিভি বিষ্ণু ও জেসিনের। বিরতির পরে খেলা ধরে নিয়েছে লাল হলুদ ফুটবলাররা। রীতিমতো কাঁপছে মোহনবাগান ডিফেন্স।
যুবভারতীতে উন্মাদনা তুঙ্গে। মাঠ ভর্তি দুই দলের সমর্থকরা। মাঠে পৌঁছে গিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের সিনিয়র দলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। একশো বছর আগের ডার্বির প্রথম গোলদাতা নেপাল চক্রবর্তীর ছেলে দীপক চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন যুবভারতীতে।
ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশে যাঁরা খেলেছেন –
দেবজিৎ, জোসেফ, আদিল, মনোতোষ, হীরা, তন্ময়, নসীব, রোশল, আমন, বিষ্ণু, ডেভিড।
মোহনবাগানের প্রথম একাদশে যাঁরা খেলেছেন –
রাজা, রাজ, দীপেন্দু, রবি, আমনদীপ, সৌরভ, গ্লেন, লিয়ন, অভিষেক, সুহেল, ফারদিন।
বল গড়াল কলকাতা লিগের ডার্বির। চিরাচরিত সবুজ-মেরুন জার্সিতে মাঠে নেমেছে মোহনবাগান। চেনা লাল-হলুদ রঙের জার্সিতে টক্কর দিতে তৈরি ইস্টবেঙ্গলও। মোহনবাগান কোচ ডেগি কার্ডোজো এবং ইস্টবেঙ্গল কোচ বিনো জর্জের মগজাস্ত্রের লড়াই দেখতে তৈরি ফুটবলভক্তরা।
শুরু থেকেই আক্রমণ তুলেছে ইস্টবেঙ্গল। বিষ্ণুর শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সুযোগ এসেছিল লাল-হলুদের তন্ময়ের কাছে। মাঝমাঠ দখলের পালটা লড়াই চালাচ্ছে মোহনবাগানও। সুহেল ভাট ঢুকে পড়েছিলেন বক্সের মধ্যে।
কলকাতা ডার্বির আধঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও গোল করতে পারেনি কোনও দলই। ফারদিন, সুহেলরা আক্রমণ শানাচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলের গোল লক্ষ্য করে।
প্রায় ৫০মিনিটের কাছাকাছি বিষ্ণুর গোলে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। মাঝমাঠ থেকে সার্থক গলুইয়ের বাড়ানো বল ধরেন বিষ্ণু। রিসিভেই কেটে যায় মোহনবাগানের দুজন ফুটবলার। তার পর গোলকিপারকে দাঁড় করিয়ে বাঁ পায়ে গোল করে যান বিষ্ণু।
এই ম্যাচে বিরতির আগে খেলা জমেনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভাল খেলেছে লাল হলুদ দল। তারা শুরু থেকেই ম্যাচে ফেভারিট ছিল। সেই মতোই বিরতির পরে তারা দুরন্ত ছন্দে খেলেছে।
Be the first to comment