তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস নেবেন। কিন্তু সাংসদ পদে ইস্তফা দেননি তিনি। সেটা অবশ্য আসানসোল কেন্দ্রের মানুষের জন্য। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে একাকীত্বে দিন কাটছে বলে জানালেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। শনিবার ফেসবুক পোস্টে বাবুল লিখেছেন, ‘একা ঘরে নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভাল লাগে। কিন্তু এখন নিজেকে অস্বাভাবিকরকম (অ্যাবনরমালি) একা লাগছে।’ তবে তিনি কাউকে তার জন্য দায়ী করেননি।
এখানেই শেষ নয়, ইংরেজি আপ্তবাক্য উদ্ধৃত করে লিখেছেন, ‘জীবন আসলে একমুখী পথ। যে রাস্তা ধরে এতটা পথ এসেছেন, সে রাস্তা ধরে আর ফিরতে পারবেন না।’ অর্থাৎ বাবুল তাঁর সক্রিয় রাজনীতিতে ফেরার সম্ভাবনা ফের খারিজ করতেই এই কথা লিখেছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তবে কবে তিনি আবার গানের জগতে ফিরবেন সেকথা উল্লেখ করেননি।
উল্লেখ্য, আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রাজনীতি ছাড়ার কথা জানিয়েছিলেন বাবুল। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথাও বলেছিলেন। কিন্তু বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আসে। তবে তিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করে যাবেন বলেছেন। কিন্তু সক্রিয় রাজনীতিতে তিনি ফিরবেন না।
এদিকে শনিবারের ফেসবুক পোস্টে রয়েছে তাঁর মায়ের স্মৃতি। গত ডিসেম্বর মাসে প্রয়াত হয়েছিলেন বাবুলের মা সুমিত্রা বড়াল। তাঁর স্মৃতিচারণায় বাবুল লিখেছেন, ‘জানতাম মায়ের একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছিল| বড় স্ক্রিনওয়ালা মোবাইল কিনে দিয়েছিলাম। ছবিগুলো, লেখাগুলো যাতে দেখতে সুবিধা হয়| মোবাইলটাতে কোনও সমস্যা হলেই আমার কাছে আসত, ‘এই বাবুল দেখ তো, কিচ্ছু আসছে না। আগের ছোট মোবাইলটাই ভাল ছিল, এটা বাজে’।’
অন্যদিকে মায়ের সেই ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তাঁর ‘চোখের সামনে ভেসে’ ওঠে। তাই লিখেছেন, ‘জানতাম মা টুকটাক ফেসবুক করে। কিন্তু মা যে আমার প্রায় সব অরাজনৈতিক পোস্ট জটিল, বাজে মোবাইলটা থেকে ধরে ধরে শেয়ার করত, তা জানতাম না।’ আসলে মায়ের কথা মনে পড়ছে বলেই বাবুলের একা লাগছে বলে মনে করছেন রাজ্য বিজেপির একাংশ নেতারা।
Be the first to comment