যশোর রোডের দুপাশে থাকা গাছে দুর্ঘটনা আগেও ঘটেছে। মৃত্যুও হয়েছে। ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার ফের শিরিষ গাছের ডাল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল দু’জনের। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার চাঁদপাড়া এলাকায়। বিডিও অফিসের সামনে গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভে স্থানীয়রা।
জানা গিয়েছে, চাঁদপাড়া বিডিও অফিসের কাছে রাস্তার উপর রতন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তির একটি মাংসের দোকান রয়েছে। অন্যান্যদিনের মতোই রবিবার সকালে দোকান খুলেছিলেন। সেখানে ছিলেন স্নেহাংশু বিশ্বাস নামে আরেকজন-সহ তিন-চারজন। আচমকা ১২ টা নাগাদ রাস্তায় থাকা একটি শিরিষ গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ওই মাংসের দোকানের উপর। চারজন জখম হন। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা রতন ও স্নেহাংশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরই ক্ষোভে ফেটে পডে়ন। বিডিও অফিসের বাইরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা এলাকায়।
উল্লেখ্য, আগেও যশোর রোডের শতাব্দী প্রাচীন শিরিষ গাছের ডাল ভেঙে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় গাছের চোরা কারবারিদের উপরেই অভিযোগ আরোপ করে দায় এড়িয়ে ছিল পুলিশ প্রশাসন। চোরা কারবারিদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে জনবিক্ষোভকেও তখনকার মতো প্রশমিত করা হয়।
এরপরই গাছ কাটার উদ্যোগ নেয় ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি ও কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। মন্ত্রকের অধীনে থাকা ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক যশোর রোড সম্প্রসারণের উদ্যোগও নেওয়া হয়। সেই মতো ঠিক হয়, রাস্তা সম্প্রসারণ করা হবে ভারত বাংলাদেশের পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে ভিআইপি মোড় পর্যন্ত। জমি জরিপের কাজও শুরু হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য যশোর রোডের দু’পাশে থাকা কয়েক হাজার শিরিষ গাছ কেটে ফেলা হবে। এহেন প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের খবর পেয়েই পথে নামেন সাধারণ মানুষ। পরিবেশ বিপন্ন হতে পারে, শতাব্দী প্রাচীন গাছ বাঁচিয়ে রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ হোক। এই দাবিতে ও গাছ কাটার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় যশোর রোড গাছ বাঁচাও কমিটি।
Be the first to comment