রোজদিন ডেস্ক :- ফের এনকাউন্টার। বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। পুলিশ ও সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী অভিযানে নেমেছিল। সেখানেই এল বড় সাফল্য। ছত্তিশগড়ে নারায়ণপুর জেলায় অবুঝমাঢ়ে প্রায় ৭ ঘন্টা ধরে অভিযান শেষে মাওবাদী নিকেশ করল বাহিনী।
ছত্তিশগড়ের অবুঝমাঢ়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে নিহত হয়েছে ৭ মাওবাদী জঙ্গি। বৃহস্পতিবার ভোর ৩টা নাগাদ দক্ষিণ অবুঝমাঢ়ে জঙ্গলে ঘটনাটি ঘটেছে। গুলি বিনিময় বন্ধ হওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে ইউনিফর্ম পরা সাত মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার অবুঝমাঢ়ে জঙ্গলে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি), স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (সিআরপিএফ) সহ নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানে কমপক্ষে সাত সন্দেহভাজন মাওবাদী নিহত হয়েছে। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “ওই এলাকায় মাওবাদী কার্যকলাপ সম্পর্কে গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়েই অভিযান শুরু হয়। বস্তার পুলিশের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার ভোর তিনটে থেকে নিরাপত্তা বাহিনী ও মাওবাদীদের মধ্যে গুলি লড়াই চলে। এরপরই অভিযানে ইউনিফরম পরা সাত মাওবাদী ক্যাডারের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘন ও চ্যালেঞ্জিং ভূখণ্ডে বাহিনী এগিয়ে যাওয়ায় তল্লাশি অভিযান ও এনকাউন্টার দুপুর পর্যন্ত চলে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই এই অভিযানের প্রশংসা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন অ্যান্টি নকশাল অপারেশন চলছে। ৭জন নকশালকে নিকেশ করেছে আমাদের বাহিনী। আমি তাঁদের সাহসিকতাকে স্যালুট করছি।
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, এদিকে বুধবার দুজন ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড আইইডি বিস্ফোরণে আহত হয়েছিলেন। ছত্তিশগড়ের বীজাপুরে অপর এক মাওবাদী গুলির লড়াইতে মারা গিয়েছিল।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে অবুঝমাঢ়ে মাওবাদীদের ধরতে বেশ কয়েকটি অভিযান করেছে বাহিনী। এই ‘মাঢ় বাঁচাও অভিযান’-এ নিহত হয়েছেন প্রায় ১০০ জন মাওবাদী। গত অক্টোবরে একটি অভিযানে দক্ষিণ অবুঝমাঢ়ে ৩১ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
Be the first to comment