রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা :- ডায়মন্ড হারবারের বছর নয়ের এক ফুটফুটে বাচ্চার যখন ছোটাছুটি করে খেলার বয়স, তখন ওই শিশুটি দুপা হাঁটলেই হাঁপিয়ে পড়ে। পারেনা বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেও। ছেলেটিকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কারণ হয় বাবা-মার। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর ঘরে, ছেলেটার যদি বড় রোগ হয় তাহলে কোথায় যাব এই দুশ্চিন্তায় দিন কাটে আলতাফ হোসেন ঘরামি পরিবারের। তখনই লোকোমুখে শোনে ‘সেবাশ্রয়’ শিবিরের কথা। তড়িঘড়ি আলতাফকে সাথে নিয়ে শিবিরে আসে বাবা-মা। সেইখানে চিকিৎসায় ধরা পড়ে এই ফুটফুটে বাচ্চাটির হার্টের সমস্যা। এরপরই তাঁকে ডায়মণ্ড হারবারের এসডিও গ্রাউন্ডের মডেল ক্যাম্পে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। সেখানে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায় ৯ বছরের আলতাফের হৃদপিন্ডে একটি ছিদ্র রয়েছে। ওই শিবির থেকেই খবরটি যায় তৃণমূল সাংসদ ও দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে। খবর পাওয়া মাত্রই কাল বিলম্ব না করেই শিশুটির দ্রুত অস্ত্রোপ্রচার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি জগন্নাথ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস বা (জেআইএমএস) হাসপাতালে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসার নির্দেশ দেন অভিষেক। সূত্রের খবর, এদিনই ৯ বছরের আলতাফের ১২ ঘণ্টার ওপেন-হার্ট সার্জারি হচ্ছে। এরপরই আলতাফের পরিবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত এই ‘সেবাশ্রয়’ শিবিরকে।
বিরোধীরা যখন রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ত্রুটি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তখন সেবাশ্রয়ের মতো উদ্যোগ মানুষের মনে আলাদা জায়গা তৈরি করছে। এমনকি চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই ধরনের বিনামূল্যে সেবার প্রচলন ভবিষ্যতে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলেই মনে করছে সাধারণ মানুষ।
প্রসঙ্গত, এর আগেও এই ‘সেবাশ্রয়’ শিবিরে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন হোসেন মল্লিক (৭০) নামের এক বৃদ্ধ। তাঁকেও দ্রুত ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি কিছুটা সুস্থ আছেন বলে জানা যাচ্ছে।
Be the first to comment