পিয়ালী আচার্যঃ সবং-এ গীতারাণী ভূঞ্যার প্রচারে এসে নিজের চাঁচাছোলা ভাষণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু হাততালিই কোড়ালেন তাই নয়, তিনি যে যথেষ্ট পরিণত তা তার প্রত্যেকটি বক্তব্যে ফুটে ওঠে। বারবার তিনি বলেন, এলাকার সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি কোনোভাবেই নষ্ট হতে দেবেন না। বিবেকানন্দ বলেছিলেন, ভারতের সমাজকে শক্তিশালী করতে হলে খাদ্য, বাক্য, বিবাহর স্বাধীনরা প্রয়োজন। আর এখন মোদি বিধান দিচ্ছে কে কি খাদ্য খাবে, কে কি কথা বলবে। এর বিরুদ্ধে একমাত্র লড়াই সংগঠিত করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা যতদিন সরকারে রয়েছেন মানুষ কোনো চোখরাঙানীর তোয়াক্কা করবেন না। এবং মমতা ব্যানার্জী যতদিন বেঁচে আছেন ততদিন বাংলার ক্ষমতায় থাকবেন। মানুষ চাইলে আমরা আরও ৫০ বৎসর থাকবো। গেরুয়া আর লালের মধ্যে কোনো তফাৎ নেই। তাই ওদের দুজনকেই বর্জন করুন। স্বাধীনতার ভূমি মেদিনীপুর, শিক্ষার আঁতুড়ঘর এটা। এখানকার মানুষ কুৎসা, অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কখনো চুপ করে থাকবে না। অধীন চৌধুরী সকালে সিপিএম, রাত্রে বিজেপি, দিনে কংগ্রেস। তাই তার নামের সাথে হাত চিহ্নকে জোড়া লাগানো মানেই তাকে কলুষিত করা। হাত চিহ্নে যারা ভোট দিতেন, তারা যেমন ভূমিপুত্র মানস ভূঞ্যাকে ভোট দিতেন, তেমনি প্রকৃত কংগ্রেসীরা গীতারাণী ভূঞ্যাকেও ভোট দেবেন। মানুষই আসল ম্যান্ডেট দেয়। সুতরাং এই বিরোধী কুৎসাকারীদের বাংলায় ঢোকা বন্ধ করে দিন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নকে মোকাবিলা করতে না পেরে এরা এখন অপপ্রচার চালাচ্ছে। বিজেপি মানে এখন বাংলার জঞ্জাল পার্টি। এই উচ্ছিষ্ট বেনোজলদের যোগ্য জবাব দিন। ২১ তারিখ ২ নম্বর বোতাম টিপে দু’নম্বরীদের হঠিয়ে দিন।
চিত্রগ্রাহকঃ প্রশান্ত দাস
Be the first to comment