সমে বন্যা পরিস্থিতি ভয়ানক আকার ধারণ করেছে ৷ গতকাল আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ এই নিয়ে অসমে বন্যায় ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ ২৮ জেলার ৩৬ লাখ মানুষ বন্যা কবলিত ৷
অসমের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ (ASDMA) জানিয়েছে, ৩৬ লাখ মানুষের মধ্যে ২২ লাখ মানুষ ধুবরি, গোয়ালপাড়া, বরপেতা এবং মরিগাঁও-এর ৷ অসমের বন দপ্তর ও ASDMA-র তরফে জানানো হয়েছে, বন্যায় ৮৬টি প্রাণীর মৃত্যু হয়েছে ৷ ১২৫টি প্রাণীকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ এরমধ্যে ৯৫ শতাংশ প্রাণী কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের বলে জানিয়েছে বনদপ্তর ৷
ASDMA-এর আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দারাং, সন্তিপুর, বিশ্বনাথ, তিনসুকিয়া, লখিমপুর, বঙ্গাইগাঁও, কামরূপ, গেলাঘাট, শিবসাগর, মরিগাঁও, ধুবরি, নওগাঁও, নলবাড়ি, বর পেতা, ধেমাজি, উদলগুড়ি, গোয়ালপাড়া এবং ডিব্রুগড় জেলা মিলিয়ে মোট 78 জনের বন্যায় মৃত্যু হয়েছে ৷ এর পাশাপাশি ধসের কারণে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ৷ ধানসিড়ি, জিয়া ভরলি, কোপিলি, বেকি, বারাক, খুশিয়াড়া এবং ব্রহ্মপুত্র নদীর জল বহু এলাকায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে ৷
রাজ্যের ২৮ জেলার ৩০১৪ টি গ্রাম বন্যা কবলিত ৷ এক লাখ ২৭ হাজার ৯৫৫ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে ৷ জেলা প্রশাসন ৭১১টি ত্রাণ শিবির তৈরি করেছে ৷ ত্রাণ শিবিরগুলিতে মোট ৫১ হাজার ৫০০ জন মানুষ রয়েছেন ৷ ১৯.৮ লাখ গৃহপালিত পশু এবং ১৩ লাখের বেশি পোলট্রি পাখি বন্যা কবলিত ৷ কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানের পাশাপাশি মানস, আর জি ওরাং জাতীয় উদ্যান এবং পবিতোরা বন্যপ্রাণ এবং তিনসুকিয়া অভয়ারণ্যও বন্যায় প্রভাবিত হয়েছে ৷ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, ASDMA এবং জেলা প্রশাসন একযোগে উদ্ধারের কাজ চালাচ্ছে ৷ বন্যা কবলিত মানুষের কাছে ত্রাণ ও জরুরি সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে ৷
Be the first to comment