শনিবার কলকাতার রাজপথে মিছিল করল কংগ্রেস। মিছিলের নেতৃত্ব দেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব সমস্যা, আইন শৃঙ্খলার অবনতি, স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল দশা ও বিদ্যুতের মাশুল বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিধান ভবন থেকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত মিছিল করে তারা।
মিছিল শেষে রাজভবনে গিয়ে একাধিক ইস্যু নিয়ে স্মারকলিপি দেয় কংগ্রেস প্রতিনিধি দল। তারপর রাজভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূলের সমালোচনা করেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতি এবং আমফান পরবর্তী বাংলা নারী পাচারের মৃগায়া ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীরবাবু। মহিলাদের নিরাপত্তা থেকে করোনা, তোলাবাজি থেকে রাজ্যে তৃণমূল-বিজেপির ‘বোঝাপড়া’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানালেন লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা।
পাশাপাশি হাথরাসের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির সমালোচনা করার পাশাপাশি তিনি বলেন, বাংলাতেও মহিলাদের নিরাপত্তা শিকেয় উঠেছে। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি লেগেই রয়েছে। এরপরই বহরমপুরের সাংসদ বলেন, আমি সংবাদমাধ্যমের সামনে দায়িত্ব নিয়ে বলে যাচ্ছি, দেশের সমস্ত যৌন পল্লীতে ৩০ শতাংশ মহিলা বাংলার।
বিজেপির নবান্ন অভিযানে পুলিশের রঙ মেশানো জল ছোড়া নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেন অধীরবাবু। এদিন তিনি বলেন, রাজ্য সরকার বিজেপির সঙ্গে দোল খেলছে রঙ দিয়ে। দোলাদুলি করছে। এ ওকে জায়গা ছেড়ে দিচ্ছে, ও একে। মানেটা কী? এসো বিজেপি বাংলা আমরা ভাগ করেনি। মুসলমান আমার সঙ্গে থাক, হিন্দু তোমার সঙ্গে যাক। তাই রঙ দিয়ে আদর করা হল। আর বামপন্থীরা যখন নবান্ন অভিযান করেছিল তখন তাঁদের রক্তাক্ত করা হয়েছিল।
অস্ত্র উদ্ধার ও পাগড়ি খুলে নেওয়া ইস্যুতে অধীরবাবু বলেন, অস্ত্র নিয়ে মিছিলে যাওয়া আমি সমর্থন করি না। কিন্তু বিজেপির তো একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক নিয়ে মিছিলে গেছে আর তৃণমূলের তিন পয়সার নেতাদের গাড়ি খুললে বেআইনি অস্ত্র পাওয়া যাবে। তৃণমূল বাংলাকে অস্ত্র কারখানায় পরিণত করেছে।
পাগড়ি খোলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি না শিখ ধর্মকে অপমান করবে বলে পাগড়ি খুলে নিয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আমাদের বিরোধ আছে। কিন্তু এটা আমি বিশ্বাস করি না। কারণ শিখ দাঙ্গার সময়েও কলকাতায় একজন শিখের গায়েও আঁচড় পড়েনি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই অধীরবাবু বলে দিয়েছিলেন একুশের ভোটে বাংলায় বাম-কংগ্রেস জোট হবে। এদিন তিনি বলেন, আমরা তৃতীয় শক্তি। তবে প্রথম শক্তি হওয়ার জন্য লড়াই জারি থাকবে। দ্রুত আমরা প্রথম শক্তি হিসেবে বাংলায় আবির্ভূত হব।
Be the first to comment