নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করলো কংগ্রেস। বিধান ভবন থেকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী সোমবার কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করে বলেন, “আমাদের স্লোগান হচ্ছে হাত বাড়ান বাংলা বাঁচান। এবার আর ফুল নয়, আর কোনও ভুল নয়। একই বৃন্তে দুটি ফুল, বিজেপি আর তৃণমূল।” এর পর অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “যারা পরবর্তন চান, তাদের বলছি সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থীদের ভোট দিন। আমরাই ভবিষ্যৎ।”ইস্তাহারে বিধান রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর একটি কোটেশন ব্যবহার করা হয়েছে।
অধীরবাবু এদিন বলেন, “আটটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা আমাদের ইস্তাহার করেছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে আইনের শাসনের অঙ্গীকার, শিক্ষা, স্বাস্থ্যের উন্নয়নের অঙ্গীকার, শিল্প সংস্কৃতি রক্ষার অঙ্গীকার, সামাজিক সুরক্ষার অঙ্গীকার, কৃষক উন্নয়নের অঙ্গীকার, জল ও পরিষেবার অঙ্গীকার এবং দান খয়রাতি নয়।” অধীর রঞ্জন চৌধুরী এদিন বুঝিয়ে দেন , “ইন্সেন্টিভের রাজনীতি কংগ্রেস করে না\ পাইয়ে দেওয়ার চাইতে মানুষের স্থায়ী উন্নয়নই আমাদের লক্ষ, তাই বলে সামাজিক সুরক্ষা থাকবে না সেটা নয়।”
এদিন অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, “আমি ২০১৬ সালে যখন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি তখনও বিধানসভার নির্বাচনে বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট হয়েছিল। আজ ঘটনাচক্রে ২০২১-এ আমিই আবার প্রদেশ কংগ্র্রেসের সভাপতি। এই নির্বাচনেও আবার জোট হয়েছে। আমরা বলছি যারা পরিবর্তন চাইছেন, তাঁরা সংযুক্ত মোর্চাকে ভোট দেবেন।”
এদিন কংগ্রেসের প্রার্থী নিয়ে নওদা, জোড়াসাঁকো, ভনানীপুর, মালদাতে দলের কর্মীদের ক্ষোভের বিষয়ে অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “কংগ্রেস পার্টির ইতিহাসে নেই প্রার্থী ঘোষণার পর দলীয় কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাননি। ক্ষোভে হওয়াটা স্বাভাবিক। যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা দলের কর্মী। আমাদের মাতৃ ৯১টি আসন। আর একটা বাড়তে পারে। তাই সব জায়গায় প্রার্থী দিতে সবাইকে পৰ যায়নি। তবে ২০১৬ সালে আমি যখন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তখন কংগ্রেসের টিকিট পাওয়ার জন্য আজকের মতো চাহিদা ছিল না। এসব দেখে মনে হচ্ছে কংগ্রেসের প্রতি আশা-ভরসা বাড়ছে, প্রার্থী হওয়ার চাহিদা তুঙ্গে। এটাই প্রমাণ করছে কংগ্রেসের ওপর মানুষের ভরসা বাড়ছে।”
দেখুন সরাসরি!
Be the first to comment