এবার হটসিট-এর লড়াই। এক কথায় বললে সম্মান বাঁচানোর যুদ্ধ। ভোটের বাংলায় হটসিট কোনটা, তা আর বাংলার ভোটারদের নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না! আজ থেকে নন্দীগ্রামের প্রচারে নেমেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দোল উৎসবের দিন থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছেন তিনি। দোলের দিন জনসভা করে সাধারণ মানুষকে ‘বিরক্ত’ করার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। আবার এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ভোট যদি দোলের উৎসবের মাঝে পড়ে তাহলে তাঁর তো কিছু করার নেই! আসলে নন্দীগ্রমে এক ইঞ্চি মাটিও ছাড়তে চাইছেন না তৃণমূল নেত্রী।
এই নন্দীগ্রামে এসেই পায়ে চোট পেয়েছিলেন তিনি। সেই নন্দীগ্রাম আবার তাঁর হৃদয়ে চোট দেবে না তো! সেই প্রশ্নের উত্তর সময় দেবে। তবে আপাতত চন্ডীপুর জনসভা থেকে নন্দীগ্রাম জয়ের লড়াইয়ে কোমর বেঁধে নামলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রথম দফায় ৩০ টি আসনে ভোট হওয়ার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সাহা দাবি করেছেন, বিজেপি ২৬ টি আসনে জিতবে। প্রথম দফায় এবার রেকর্ড ভোট হয়েছে। বিজেপি বলছে, বিপুল ভোটের হার আসলে তাদের পালে হাওয়া লাগাবে। দ্বিতীয় দফার লড়াই সম্মানের। নন্দীগ্রামের লড়াই। আর তাই এদিন নন্দীগ্রামের মাটি শক্ত করতে নেমে পড়লেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নন্দীগ্রামে ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রলয় পালের ফোনালাপের অডিও ভাইরাল হয়েছে।
তবে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র অস্বস্তি দেখা গেল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে-মুখে, কথা-বার্তায়। তিনি স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে অমিত শাহকে আক্রমণ করে বললেন, ”ছাব্বিশটা আসন বলেছে। চারটে আর বাকি রাখল কেন! রসগোল্লা পাবে। রস ছাড়া রসগোল্লা খাবে।”
নন্দীগ্রামে ভোটের লড়াইয়ে নামার আগে কর্মীদের নরমে-গরমে একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়ে রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন কিছুটা ধমকের সুরেই বলে রাখলেন, ”তৃণমূলের যে এজেন্টরা পালিয়ে যাবে তাদের আমি ক্ষমা করব না। ইভিএম খারাপ হলে পালিয়ে যাওয়া চলবে না। ভোটের মেশিন পাহারা দিতে হবে। ভোটের মেশিন নজরে রাখতে হবে। আমার মা বোনেদের বলব ওরা বুথে ঢুকতে না দিলে হাতা-খুন্তি নিয়ে যাবেন। তৃণমূল কর্মীদের বলছি, মা বোনেদের গায়ে হাত তুললে রেয়াত করা যাবে না। আমি তো বলব কাউন্টিং-এর দিনও নজর রাখতে হবে। বিজেপির কোনও প্রলোভনে পা দেবেন না। মেদিনীপুরকে আমি ভালোবাসি। মেদিনীপুরের জন্য আমি অনেক করেছি। যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম সব পালন করেছি। বহিরাগতদের চিনে রাখবেন। দরকারে পুলিশের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ইভিএম পাহারা দিতে হবে।”
Be the first to comment