চাওয়া হয়েছিল ১৪ দিন, কিন্তু আদালত দিল ২ দিন। লালগড়ে ভোট মিটতেই রবিবার ভোরে ছত্রধর মাহাতোকে গ্রেফতার করে NIA। আর গ্রেফতার করার পর তাঁকে আদালতে তুলে ১৪ দিন হেফাজতে চায় এনআইএ। কিন্তু এই গ্রেফতারি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে সরব হয় ছত্রধরের আইনজীবীরা।
একইসঙ্গে এনআইএ হেফাজতে ছত্রধরের উপর অত্যাচার করা হবেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তাঁরা। এরপরই ছত্রধরকে মাত্র দু’দিনের এনআইএ হেফাজত দেন বিচারক। একইসঙ্গে তদন্তকারী সংস্থাকে সতর্ক করে আদালত। জানিয়ে দেওয়া হয়, এই দুদিনের মধ্যে ছত্রধরের শরীরে কোনও আঘাত থাকলে তার সম্পূর্ণ দায় বর্তাবে তদন্তকারীদের উপর। ফলে হেফাজতে পেয়েও ছত্রধরকে নিয়ে সতর্ক থাকতে হচ্ছে এনআইএ-কে।
শুধু আইনজীবীরা নয়, ছত্রধর মাহাতোর ছেলে ধৃতি মাহাতোও বলেছেন, ‘জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ডে যখন অভিযুক্তদের আটক করা হল, তখন বাবা সিবিআই হেফাজতে ছিলেন। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল আগামী ২১ তারিখ পর্যন্ত সপ্তাহে তিনদিন এনআইএ অফিসে হাজিরা দিতে। গত শুক্রবারও বাবা কলকাতায় গিয়ে এনআইএ অফিসে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন। তাহলে গভীর রাতে এভাবে তাঁকে আটক করা হবে কেন? কিসের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হচ্ছে, সে প্রসঙ্গেও কিছু বলা হয়নি। কোনও কাগজও দেখানো হয়নি।’
শনিবার প্রথম দফার নির্বাচনে সস্ত্রীক ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছিলেন ছত্রধর মাহাতো। সঙ্গে ছেলেও ছিলেন। তৃণমূল নেতা ছত্রধর জানিয়েছিলেন, জঙ্গলমহলে ভাল ফল করতে চলেছে তৃণমূল। আর ভোটদানের কয়েক ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের গ্রেফতার করা হল তাঁকে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই ১০ বছর জেল খেটে ফেলেছেন ছত্রধর।
ছত্রধরের স্ত্রী নিয়তি মাহাতোর আবার অভিযোদ, আগেও বারবার এনআইএ সরাসরি ছত্রধরকে বিজেপিতে যোগদানের কথা বলেছিল। তা হলেই তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে, এমন কথাও জানানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি। তাই চক্রান্ত করেই তাঁকে গ্রেফতার করা হল।’ ২০০৯ সালে সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতোকে খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছত্রধর মাহাতো। সেই মামলাতেই লালগড়ের তৃণমূল নেতা ছত্রধরকে গ্রেফতার করল এনআইএ।
[28/03, 6:21 PM
Be the first to comment