২০০ আসনের টার্গেট নিয়ে নামলেও ৯০-এর আগেই থেমে যেতে হচ্ছে বিজেপিকে। তৃতীয় বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের একবার নবান্ন পৌঁছতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল ৫ টার মধ্যে এই ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে যেতেই সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুভেচ্ছা জানাল বিজেপি। এর পাশাপাশি মমতার পায়ের চোট সেরে ওঠার জন্যও শুভেচ্ছা জানানো হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।
তবে মমতার হ্যাটট্রিক জয়ের জন্য ঘুরিয়ে এ দিন ঘুরিয়ে সংযুক্ত মোর্চার দিকে আঙুল তোলা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি করেন, তৃতীয় পক্ষের তরফ থেকে পুরো ভোটটাই তৃণমূলের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। ঠিক এই কারণেই জয়ের জন্য তৃণমূলের যে পরিমাণ ভোট প্রয়োজন ছিল, তা তারা পেয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন জয়প্রকাশ। নন্দীগ্রামের জয় নিয়েও মমতাকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে বিজেপির তরফে। তবে এই ভোটে যেভাবে শুভেন্দু মমতাকে লড়াই দিয়েছেন, তারও প্রশংসা করা হয়।
শাসকের কুর্সি দখল করতে না পারায় বিরোধী দলের তকমা নিয়ে আপাতত সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে বিজেপিকে। এই নিয়ে জয়প্রকাশ বলেন, “আমরা জিততে পারিনি ঠিকই, তবে বিরোধী দলের ভূমিকা নেওয়া একটা মাইলস্টোন। সক্রিয় এবং দায়িত্বশীল বিরোধী দলের ভূমিকা আমরা পালন করব।” বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে লড়াই করার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।
জিততে না পারার কারণে অবশ্য কাউকে দায়ী করা হয়নি বিজেপির তরফে। ফলাফলের জন্য আত্মসমালোচনার পথে হেঁটে জয়প্রকাশ বলেন, “যদি কিছু ত্রুটি থেকে থাকে সেটা আমাদেরই ছিল। মানুষের কাছে হয়তো গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারিনি। সেই ত্রুটি সামনের দিনে সংশোধন করা হবে। আমরা এর থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশ্লেষণ করব।”
Be the first to comment