বুধবারও দিনভর কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলা গুলোতে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনই পূর্বাভাস দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়াবিদদের কথায়, বিশেষ করে উপকূলের জেলা গুলোতে বিক্ষিপ্ত ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একটা নিম্নচাপ অক্ষরেখা অবস্থিত আছে পশ্চিম রাজস্থান থেকে অসাম পর্যন্ত। উত্তর প্রদেশ, বিহার হয়ে পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে গেছে এই অক্ষরেখা।
তাছাড়াও রয়েছে পশ্চিমের হাওয়ার প্রভাব। ফলে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকছে বাংলায়। আর এই কারণেই দক্ষিণবঙ্গের উপকূলের জেলা ও বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলোতে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুধুমাত্র পশ্চিমের জেলাগুলোতে বৃষ্টি হবে না। আগামী ২৪ ঘণ্টা এই ঝড়-বৃষ্টি বজায় থাকবে। ১৩ তারিখ থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। ১৪ তারিখ থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। এই বৃষ্টির জন্য তাপমাত্রা অনেকটা কমে গিয়েছে।
মঙ্গলবার ঝড়বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা। রাজভবনের সামনেই ঘটে মর্মান্তিক ঘটনা। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের। এদিকে, জেলায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় পাঁচ জনের। বুধবারও কলকাতার এসপ্ল্যানেড, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, আমহার্স্ট স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট- বইপাড়া- সহ বিভিন্ন জায়গায় জল জমে রয়েছে।
এদিকে, করোনা প্রকোপের মধ্যেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ধাক্কা লাগে জেলাগুলিতে। নিম্নচাপের বৃষ্টিতে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। আগামী দু-তিন দিন টানা বৃষ্টি হলে ধান বাঁচানো যাবে না বলে আগেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন চাষিরা। বুধবার সেই আশঙ্কাকেই সত্যি প্রমাণ করল আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস।
Be the first to comment