বৃহস্পতিবার সকালেও ফের একবার মমতাকে সাংবিধানিক দায়িত্বের কথা মনে করিয়ে দিলেন রাজ্যপাল। এ দিন ফের পরপর টুইট করে তিনি লিখলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে সবার একজোট হয়ে কাজ করা উচিত।’
গত কালই মমতার চিঠির জবাবে একটি চিঠি দেন ধনখড়। আজ সকালে ফের একবার সেই চিঠি টু্ইটারে পোস্ট করে রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘আমি ও আপনি দু’জনের সাংবিধানিক দায়িত্বপ্রাপ্ত। শপথ নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সংবিধান মেনে চলতে বাধ্য। আমি জানি আপনি অন্তত সংবিধান তো মানেন। আর সংবিধান কখনও এড়ানো যায়।’ সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনের জন্যই তাঁর জেলা সফর বলে উল্লেখ করেছেন ধনখড়। শুধু তাই নয়, এ দিন সফররে আগে মমতাকে একজোট হয়ে কাজ করার বার্তাও দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি লিখেছেন, ‘এরকম একটা সঙ্কটের সময় রাজ্যপাল-সহ প্রত্যেকের একসঙ্গে কাজ করা উচিত।’
আজই বিএসএফের হেলিকপ্টারে শীতলকুচির উদ্দেশে রওনা দেবেন রাজ্যপাল। এর আগ রাজ্যের কাছে এই সফরের জন্য হেলিকপ্টার চেয়েও পাননি। পরে বিএসএফের হেলিকপ্টারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর শীতলকুচি সফরের ঠিক আগের দিনই কড়া চিঠিতে মমতাকে লেখেন, এ ভাবে সফর করে দীর্ঘদিনের প্রোটোকল ভাঙছেন রাজ্যপাল। জবাবি চিঠিতে রাজ্যপালও বুঝিয়ে দেন সংবিধান মেনেই এই সফর করছেন তিনি। তাঁর দাবি, সাধারণ মানুষ যখন সমস্যায় রয়েছে তখন সেই কষ্ট ভাগ করে নেওয়া্ সাংবিধানিক দায়িত্ব।
শুধু জেলা নয়, অসমেও যাবেন বলে ঠিক করেছেন রাজ্যপাল। টুইট করে এই বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি নিজেই। শুক্রবার সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে বিএসএফের হেলিকপ্টারে সেখানে পৌঁছবেন তিনি। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে বহু বিজেপি সমর্থকদের পরিবারকে ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিতে হয়েছিল অসমে। একটি টুইটে ছবি প্রকাশ করে দিনকয়েক আগে সেই অভিযোগ তুলছিলেন অসমের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সেই অভিযোগ অনুযায়ী ওই এলাকায় গিয়ে বিধ্বস্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল।
Be the first to comment