কেন জিএসটি বৈঠক এড়াচ্ছে কেন্দ্র? সংবিধান স্মরণ করিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে চিঠি বাংলার অর্থমন্ত্রীর

Spread the love

করোনা আবহে রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা জরুরি। কেন গত ছ’মাসে একটিও জিএসটি পরিষদের বৈঠক ডাকা হল না? করোনা আবহে রাজ্যগুলি যখন চরম সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, নিদানপক্ষে ভার্চুয়ালি ডাকা যেতে পারত সেই বৈঠক! এবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনকে চিঠি দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন সংবিধান লঙ্ঘনের।

চিঠিতে তিনি লেখেন, “করোনা, অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যের একাধিক ক্ষেত্রে সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। সেগুলি নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন। আর্থিক ঘাটতি, ক্ষতিপূরণের বিষয়ে আলোচনা জরুরি।” জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের বিষয়ে এই চিঠিতে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন অমিত মিত্র।

যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোতে জিএসটি কাউন্সিল বৈঠকে অত্যন্ত জরুরি বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি। গত দুটি কোয়ার্টারে কেন্দ্র বৈঠক ডাকেনি। শেষ জিএসটি বৈঠক ডাকা হয় গত অক্টোবর মাসে। সেই তারিখও চিঠিতে উল্লেখ করেন অমিত মিত্র। তার পরে সাত মাস কেটে গিয়েছে। অতিমারির সঙ্কট ছিল ঠিকই। কিন্তু কেন ভিডিয়ো কনফারেন্সেও আলোচনার চেষ্টা করা হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলেন অমিত মিত্র। আগে প্রত্যেক তিন মাস অন্তর এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হত। সেটি স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

কোভিড প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়েভে বিপর্যস্ত গোটা দেশ। এ রকম জটিল পরিস্থিতিতে রাজ্যের আর্থিক ঘাটতি ও তার মোকাবিলা করতে কী কী পদক্ষেপের প্রয়োজন, সেই বিষয়গুলি যাতে এই বৈঠকে তুলে ধরা হয়, তা উল্লেখ করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। অমিত মিত্র এও স্মরণ করিয়ে দেন, কেন্দ্রের কাছ থেকে রাজ্যগুলির প্রাপ্য জিএসটি ক্ষতিপূরণ খাতে ঘাটতিও উদ্বেগজনক জায়গায় পৌঁছতে চলেছে। তাঁর বক্তব্য, সংবিধানের ২৭৯এ অনুচ্ছেদ মেনে জিএসটি পরিষদ তৈরি হয়েছিল। তাই সংবিধান অনুযায়ীই তাকে চালাতে হবে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার অক্সিজেন সিলিন্ডার-সহ করোনায় ব্যবহৃত ওষুধ ও সরঞ্জামের ওপর থেকে কর নেওয়ার দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সরাসরি সেই চিঠির উত্তর না দিয়ে ১৬ টি প্রত্যুত্তর টুইট করেন নির্মলা সীতারমন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, করোনায় ব্যবহৃত চিকিৎসার যে সব সরঞ্জামের ওপর করমুক্তির দাবি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা আগে থেকেই ছাড় দিয়ে রেখেছে কেন্দ্র। তবে জিএসটি ছাড়ের দাবি নস্যাৎ করে দিয়ে তিনি বলেছিলেন, এর ফলে সাধারণ মানুষের স্বস্তির বদলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যেভাবে প্রধানমন্ত্রীকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি লেখার পরই ময়দানে নেমেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। এবার তাঁর সেই ১৬টি টুইটে প্রত্যুত্তরেই পাল্টা চিঠি দিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*