প্রথমবারের থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ছবিটা অনেকটাই আলাদা। সংক্রমণের বহরও যেমন বিপুল, তেমনই প্রকট হচ্ছে একাধিক সমস্যা। নমুনা পরীক্ষা নিয়ে রীতিমতো হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কপাল জোরে যদিও বা টেস্ট করানো সম্ভব হয়, রিপোর্ট আসতে অনেক ক্ষেত্রে ১০-১৫ দিনও লেগে যাচ্ছে। আর হাতে রিপোর্ট না থাকায় চিকিৎসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তাই এবার আরটি পিসিআর টেস্টের ক্ষেত্রে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর। সঙ্কটজনক রোগীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষায় অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেই নির্দেশিকায়।
নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা শুরু করার জন্য দ্রুত পরীক্ষা করা প্রয়োজন। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের সঙ্কটজনক রোগীদের নমুনা সঠিক লেবেল দেওয়া বাক্সে সংগ্রহ করতে হবে ও ল্যাব থেকে দ্রুত পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা করতে হবে। ল্যাবরেটরিগুলিকেও ওই সব নমুনা অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুত পরীক্ষা করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর একটি নির্দেশিকায় বলেছিল যাতে নেগেটিভ রিপোর্ট থাকলেও করোনার উপসর্গ থাকা রোগীকে কোভিড ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আরও বলা হয়েছিল যে, প্রথমে সারি ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করাতে হবে ওই সব রোগীদের ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করিয়ে পরে কোভিড ওয়ার্ডে চিকিৎসা করানো হবে। কিন্তু এই নির্দেশ সত্বেও কোনও লাভ হয়নি বলেই নতুন অ্যাডভাইজরি দিতে হবে স্বাস্থ্য দফতরকে। বৃহস্পতিবার রাতে জরুরি ভিত্তিতে সেই অ্যাডভাইজরি দেওয়া হয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালগুলিকে জানানো হয়েছিল, যাতে কোভিড রিপোর্ট না থাকলেও কোনও রোগীকে ফেরানো যা হয়, পরে আরও নির্দেশিকায় বলাহয় যে ওই নির্দেশ সরকারি ও বেসরকারি উভয় হাসপাতালের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
Be the first to comment