দীর্ঘ কয়েক বছরের টানাপড়েনের পর শুক্রবার অবশেষে পিএম কিসান নিধি প্রকল্পের টাকা পেয়েছেন বাংলার চাষিরা। সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি সেই টাকা পাঠানোর পরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানায় নিলেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতারা। বৃহস্পতিবার কৃষকদের উদ্দেশে একটি চিঠি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছিলেন, রাজ্যের তরফে আগেই সব তথ্য কেন্দ্রের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মোদী সরকারের গড়িমসিতে তা অনেক সময় বাদে এসেছে। সাংবাদিক বৈঠক করে এ দিন পালটা জবাব দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মিথ্যে কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমরা কৃষকদের পাশে দাঁড়াবো। সবাই যাতে টাকা পায় তার জন্য বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে আন্দোলন চলবে। মুখ্যমন্ত্রী যে চিঠি কৃষকদের দিয়েছেন, তা খুবই নিন্দনীয়। মিথ্যে বলছেন উনি। কেন্দ্রীয় সরকার এই টাকা আগেই দিতে চেয়েছিল। রাজ্য নেয়নি, কৃষকদের নামের তালিকাও পাঠানো হয়নি।” অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য সভাপতির কটাক্ষ, “কাটমানি পাওয়া যাবে না বলে নাম পাঠাতে এত দেরি করল রাজ্য সরকার।”
অন্যদিকে, রাজ্যপালের বঙ্গ সফর নিয়েও এ দিন মুখ খুলতে শোনা যায় বিজেপি নেতাদের। দিলীপ ঘোষ এই প্রসঙ্গে জানান, “ভোট মেটার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৭ হাজার ঘটনার অভিযোগ তাঁরা পেয়েছেন। কিন্তু কেউ ভয়ে এফআইআর করতে পারছেন না। তাই রাজ্যপাল জেদ করে গিয়েছেন। তাঁকেও সেখানে গালাগাল দিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। বুদ্ধিজীবীদের আবেদন, আপনারা প্রতিবাদ করুন।”
অন্যদিকে, এ দিন কোচবিহার থেকে ফিরে আসার পর এ বার নন্দীগ্রামেও যাবেন বলে জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি কোচবিহারে যাওয়ার সময় সঙ্গে বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিককে সঙ্গে নেওয়ায় বিতর্ক হয়েছিল। সেই কারণে নন্দীগ্রামে তাঁর সঙ্গে বিজেপির কোনও প্রতিনিধি থাকবে না বলেই জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ১৫ হাজারের বেশি মানুষ সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ভোট পরবর্তী হিংসায়।
Be the first to comment