গোটা দেশের মতোই করোনা পরিস্থিতি এখনও সঙ্কটজনক রাজ্যে। সামাল দিতে দফায় দফায় চলছে রাজ্যের প্রশাসনিক স্তরের বৈঠক। সবরকমভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মরিয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এরই মধ্যে রয়েছে টিকার আকাল। পরিস্থিতি দেখে আজ থেকে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত কার্যত লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। আর সেক্ষেত্রে টিকাকরণের ক্ষেত্রেও নতুন নিয়ম চালু করে বিভিন্ন দফতরকে আলাদা দায়িত্ব দেওয়া হল।
বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সাধারণ মানুষের টিকা পাওয়ার বিষয়টি দেখভাল করবে স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে থাকা হাসপাতাল এবং সংশ্লিষ্ট জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। অন্য দিকে, যাঁদের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, সেই মানুষদের টিকা দেওয়ার বিষয়টি দেখবে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। বিষয়টি জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এই দ্বিতীয় ভাগের সরকারি ও আধা সরকারি কর্মী ও তাঁদের পরিবারের লোকজন। যাঁরা এখনও টিকা পাননি, এই ভাগে রয়েছেন রাজ্যের শিক্ষকরাও। দ্বিতীয় ভাগে রয়েছেন রেশন ডিলার, কেরোসিন ডিলার, গ্যাসের ডিলার, পেট্রলপাম্পের কর্মীরা। রয়েছেন পরিবহণকর্মীরা, এর মধ্যে রয়েছেন ট্যাক্সি, অটো, টোটো ও রিকশাচালকরাও। আদালতের বিচারক থেকে মুহুরি সকলেই, সমস্ত হকার, যৌনকর্মীরা, বাজারের সমস্ত বিক্রেতারা এবং সংশোধনাগারের আবাসিকরা। নবান্ন সূত্রের খবর, এই দ্বিতীয় ভাগের সকলের টিকা পাওয়ার বিষয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব বিভিন্ন দফতরের মধ্যেই ডেটাবেস তৈরি, টিকাকেন্দ্রের ব্যবস্থার দায়িত্ব বণ্টন করে দেবেন।
অপরদিকে, করোনা মোকাবিলায় ফাইনাল ইয়ারের এমবিবিএস ছাত্র-ছাত্রী (MBBS Students) এবং নার্সদের কাজে লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে, কোভিড পরিস্থিতি সামলাতে এবার ডাক্তারি পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে বিশেষ প্রশিক্ষণও। জানা গিয়েছে এমবিবিএস–এ চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নার্সিং–এ চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, প্রায় ২ হাজার ৪৫০ জন পড়ুয়াকে কোভিড রোগীদের চিকিৎসা করার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
Be the first to comment