‘টাকা তো শুভেন্দুও নিয়েছিল, তবে তাঁকে গ্রেফতার নয় কেন? প্রশ্ন তুললেন ম্যাথু স্যামুয়েল

Spread the love

ম্যাথু স্যামুয়েলের নেতৃত্বেই হয়েছিল সেই স্টিং অপারেশন। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সেই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এনে আলোড়ন ফেলে দিয়েছিলেন নারদ কর্তা। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল একাধিক নেতা-মন্ত্রীরা টাকা নিচ্ছেন। তারপর অনেক রাজনৈতিক চাপা-উতোরের জল গড়িয়েছে। ২০১৬-র পর ২০২১-এও নারদ অস্ত্রে রোধ করা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অবশেষে চার দাপুটে নেতার গ্রেফতারির পর মুখ খুললেন ম্যাথু স্যামুয়েল। তবে স্টিং অপারেশনে শুভেন্দু অধিকারীর ছবি থাকা সত্ত্বেও তাঁকে কেন গ্রেফতার করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

সোমবার সকালে কোনও নোটিশ ছাড়াই গ্রেফাতার হন রাজ্যের মন্ত্রী তথা পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। গ্রেফতার করা হয়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কেও। আর এই গ্রেফতারির পর ম্যাথুর প্রতিক্রি্য়া, ‘দীর্ঘ অপেক্ষার পর বিচার মিলেছে।’  তিনি বলেন, ‘আমি নিজে সেই স্টিং অপারেশন করেছিলাম। ২০১৬-তে সেটা পাবলিক ডোমেনে দিয়েছিলাম। অবশেষে ফল পেয়েছি।’ তাঁর কথায়, ‘এটাই দুর্ণীতির বিরুদ্ধে আসল লড়াই। আমি অপেক্ষা করতে তৈরি ছিলাম। অনেক সময় লেগে গেলেও বিচার মিলেছে।’

কিন্তু সব শেষে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ম্যাথু স্যামুয়েল। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দুর কী হল? শুভেন্দুও আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিল। সেই ফুটেজও আমি সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছি। বিচার সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। তবে শুধু স্যামুয়েল নন, একই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূলের নেতারাও। শুধু শুভেন্দু নয়, নাম উঠে এসেছে মুকুল রায়েরও।

আইনজীবী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘মুকুল রায়কে কেন গ্রেফতার করা হল না?’ রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। নারদের স্টিং অপারেশনে তৎকালীন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাদের দেখা গিয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও মুকুল রায়। মুকুলকে এই মামলায় তলবও করা হয়েছিল সিবিআই দফতরে। পরে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। আর একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে্ শিবির বদল করেন শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমানে তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*