মারাত্মক শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে Tauktae, কিছুক্ষণেই শুরু হবে তাণ্ডব

Spread the love

আচমকা অঙ্কে বদলে শক্তি বৃদ্ধিতে ভয়বাহ শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত তাউকতে। সাইকেলোনিক স্টর্ম থেকে ভেরি সিভিয়ার সাইকেলোনিক স্টর্ম বা অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এখন তাউকতে। সোমবার রাত আটটার মধ্যেই গুজরাট উপকূলে উনার কাছে আছড়ে পড়তে চলেছে এই ঝড়। ঘণ্টায় ১৮০ থেকে ১৯০ কিমি গতিবেগে গতি বাড়িয়ে ছুটে আসছে তাউকতে। বছরের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে উপকূল জুড়ে তাণ্ডবের আশঙ্কা। সর্তকতা জারি করা হয়েছে গুজরাট সহ মুম্বই উপকূলেও।

প্রশাসনের তরফে স্যাটেলাইট চিত্রে নজর রেখে নেওয়া হচ্ছে ব্যবস্থা। এই মুহূর্তে মুম্বই উপকূলের পূর্ব-মধ্য আরব সাগরে অবস্থান করছে তাউকতে। শক্তি অর্জনের ফলে ১৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে ঘূর্ণি ঝড়ের গতিবেগ। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এই মুহূর্তে ঝড়ের অভিমুখ গুজরাতের পোরবন্দর ও মাহবুবার (ভাবনগর)। গুজরাটের উনার ছাড়াও জুনাগড় ও আমরেলিতেও প্রবল ক্ষতির সম্ভাবনা। গির ন্যাশনাল পার্কের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। স্থলভাগে প্রবেশের সময় সমুদ্রের ৩ মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া দফতর।

ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাঁচাতে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে ইতিমধ্যেই ১২ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে মহারাষ্ট্রের উপকূল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ইতিমধ্যেই ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি শুরু উপকূলে। ভারী বৃষ্টিপাতে ভাসল বান্দ্রা কুরলা কমপ্লেক্স। বন্ধ বান্দ্রা ও ওরলি সি-লিঙ্ক থকে মুম্বই এয়ারপোর্ট। সতর্ক বিপর্যয় মোকাবিলা টিম। পরিস্থিতিতে নজর রেখেছে ভারতীয় নৌবাহিনীও। তাউকতে বিপর্যয় মোকাবিলায় বৈঠকে উদ্ধব ঠাকরে সরকার।

মুম্বই উপকূলের গা বেয়ে গুজরাত উপকূলের দিকে এগোচ্ছে Cyclone Tauktae। এর ফলে কেরল, তামিলনাড়ু, গোয়া উপকূলেও প্রবল ঝড়বৃষ্টি। শনিবার থেকেই কেরালায় প্রবল বর্ষণ শুরু হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় বইছে ঝোড়ো হাওয়া। কার্যত বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সে রাজ্যে।

বন্যার আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই তৎপর হয়েছে প্রশাসন। নামানো হয়েছে বিপুর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে। সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। বেশ কিছু সমুদ্র তীরবর্তী গ্রামে জল ছাপিয়ে ভাসাতে শুরু করেছে। লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজ্যের তিরুবনন্তপুরম, কোল্লাম, পথনামতিত্থা, আলাপ্পুঝা ও এরনাকুলামে। কেরালার উত্তরের জেলাগুলি অর্থাৎ মলপ্পুরম, কোঝিকোড়ে, ওয়েনাদ, কান্নুর ও কাসুরগডেও বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। ঘূর্ণাবর্তের জেরে তৈরি হওয়া যে কোনওরকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে রাজ্য সরকার তৎপর বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

রবিবারই গোয়া উপকূলে আছড়ে পড়ল অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তাওকতে। কার্যত লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছে গোয়ার সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা। ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির জেরে গোয়াতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি। বেশ কয়েকটি জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে গুজরাট ও দিউ উপকূলে।অতিভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে কর্নাটকেও। সে রাজ্য়ের ছয়টি জেলায় শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে চারজনের। মোট ৭৩টা গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কেরালাতেও মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। শুধু মহারাষ্ট্র ও গুজরাতেই নয়, বাকি রাজ্যেও কাজ করছে বিপর্যয় মোকাবিলা দল। তাউটে মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বায়ুসেনাও।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*