৬ ঘণ্টা নিজাম প্যালেসে কাটিয়ে বেরোলেন মমতা, গেলেন নবান্নর দিকে

শেষ ভার্চুয়ালি শুনানি

Spread the love

প্রায় ৬ ঘণ্টা সিবিআই-এর নিজাম প্যালেসের দফতরে কাটিয়ে অবশেষে সেখান থেকে বেরিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নারদকাণ্ডে ফিরহাদ হাকিম-সহ সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে এ দিন সকালে গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপরই পালটা চাপ তৈরি করতে সোজা সিবিআই দফতরে চলে যান মমতা। বেরনোর সময় তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যা সিদ্ধান্ত আদালত নেবে।’

শেষে প্রায় ৬ ঘণ্টা সময় কাটিয়ে বেরিয়ে আসনে তিনি। সেখান থেকে বেরিয়ে নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। নিজাম প্যালেসে বসেই মন্ত্রিসভার বৈঠকও ফোনের মাধ্যমে তিনি করেন বলে খবর সূত্রের।

তবে ভার্চুয়ালি শুনানি শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আদালতের নির্দেশ জানা যাবে ৷ সিবিআইয়ের পক্ষে আদালতে বলা হয়েছে, গ্রেফতার হওয়া চার নেতাই প্রভাবশালী ৷ তদন্তপ্রক্রিয়া প্রভাবিত হতে পারে ৷ তাই তাঁদের নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে সিবিআই ৷ 

প্রাক্তন রাজ্যপাল রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই হোক, বা অভিষেকের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের হাজিরা। যখনই কোনও ভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সক্রিয় হয়ে বড় কোনও পদক্ষেপ করতে গিয়েছে। তখনই ঢালের মতো সামনে দাঁড়িয়েছেন মমতা। এ বারও তার ব্যতিক্রম হল না। শোভন যদিও এই মুহূর্তে তৃণমূলের কোনও পদাধিকারী নয়। কিন্তু, পরিবহন এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী ও কামারহাটির বিধায়কের গ্রেফতারি নিয়ে নিজাম প্যালেসে পৌঁছে সরব হন তিনি। সিবিআই আধিকারিকদের সামনে গিয়ে মমতা সটান বলেন, আমাকেও গ্রেফতার করুন।

সোমবার বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে পৌঁছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় সিবিআই-এর অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চে যান তিনি। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে আসেন আইনজীবী অনিন্দ্য রাউত। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এটা স্পষ্ট করে দেন যদি ফিরহাদ-সুব্রত, মদনকে গ্রেফতার করা হয়, তাহলে তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে।” যদিও প্রায় ৬ ঘণ্টা সময় সেখানে কাটানোর অ্যান্টি করাপশন ব্রাঞ্চের ডিআইজি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবেদন জানালে তিনি সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।

অন্যদিকে, এ দিন নিজাম প্যালেসে বসেই ফোনে একের পর এক বৈঠক করেন মমতা। ফোনেই অক্সিজেন বাসের উদ্বোধন করেন তিনি। যদিও সিবিআই দফতর থেকে বেরোনর সময় কোনও ধরনের মন্তব্য় করেননি তিনি। মনে করা হচ্ছে, আদালত কোনও রায় দেওয়ার পরই তিনি মুখ খুলবেন। মূলত, দলের সৈনিকদের পাশে থাকতে এবং সিবিআই-এর উপর প্রত্যক্ষভাবে চাপ তৈরি করতেই তিনি এভাবে ৬ ঘণ্টা সিবিআই দফতরে বসে রইলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*