আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করতে হবে। নইলে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বাড়ি ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিল তৃণমূল। কাঁথি ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে হুঁশিয়ারি, অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে নারদ ও সারদা মামলায় অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে। কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েনের কথায়, “শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার এবং গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল নেতাদের ছাড়া না হলে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে শান্তিকুঞ্জ ঘেরাও হবে।”
কাঁথির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে শুভেন্দু অধিকারীর বাসভবন ‘শান্তি কুঞ্জ’। সোমবার নারদ মামলায় পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র ও প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই-র হাতে গ্রেফতারের প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারীকেও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। এ নিয়ে কার্যত তোলপাড় শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে।
চার তৃণমূল বিধায়কের গ্রেফতারির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে। এর মধ্যে একটি ফেসবুক পোস্টে মন্ত্রী অখিল গিরির পুত্র জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন তাঁকেও গ্রেফতার করুক সিবিআই। যদিও করোনা পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের সংযত থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি।
তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপাল ও বিজেপির ‘ষড়যন্ত্রে’ এই গ্রেফতারি। তাই মানুষ যেন ‘চক্রান্তে’ পা না দেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্ধৃত করে সবাইকে সংযত থেকে আইনি পথে লড়াই হবে বলে জানিয়েছেন সুপ্রকাশ। যদিও সব মিলিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে অস্থিরতা এখন চরমে। জেলার নন্দকুমার চৌরাস্তা মোড় বর্তমানে অবরুদ্ধ। পাশাপাশি নন্দকুমারে ৪১ নম্বর জাতীয় সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে তৃণমূল।
চার নেতার গ্রেফতারি নিয়ে ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। তাদের দাবি, বাংলায় ভোটে হেরে গিয়ে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে সিবিআইকে দিয়ে এই কাজ করিয়েছে বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইশাকের হুঁশিয়ারি, “অবিলম্বে রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের মুক্তি না দেওয়া হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।” পরে নন্দকুমার থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ ওঠে।
Be the first to comment