রাত বাড়তে চললেও নারদকাণ্ডে নাটকের যবনিকা পতন হচ্ছে না। পরতে পরতে নাটক চলেই যাচ্ছে। সিবিআই-এর বিশেষ আদালতে জামিন মিললেও এখনও পর্যন্ত তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়নি। মামলাটি অন্যত্র সরানোর জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে। সেই মামলার বর্তমানে রায় লেখা চলছে বলে খবর আদালত সূত্রে। যতক্ষণ না হাইকোর্টে শুনানি শেষ হচ্ছে ততক্ষণ তাঁরা ছাড়া পাবেন না বলেই খবর সূত্রের। সিবিআই-এর তরফে বলা হয়েছে, যা পরিস্থিতি তাতে তদন্ত করা যাচ্ছে না। মন্ত্রীরা আদালতে, দফতে বসে থাকছেন। এর বিহিত না হওয়া পর্যন্ত ৪ নেতাকে ছাড়া হবে না বলেই জানা গিয়েছে হাইকোর্ট সূত্রে।
নারদ মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়ে এ দিন রাতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই। যদিও ফিরহাদ হাকিম-সহ অন্যান্য নেতাদের জামিন খারিজ করার আবেদন করে হাইকোর্টে যাওয়া হয়নি বরং আজ সারাদিনের ঘটনাপ্রবাহ এবং অশান্তির ঘটনার কথা মাথায় রেখে এই মামলা অন্য রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চে আবেদন জানানো হয়েছে। তিনি বাড়ি থেকেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে মামলাটি শুনেছেন।
ফলে একটা বিষয় আপাতত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, সদ্য জামিন পাওয়া ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের এখনই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। আপাতত তাঁদের জামিন বাতিলের আবেদন জানানো হয়নি। তবে মামলাটি অন্য রাজ্যে সরিয়ে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত না হাইকোর্ট নিজের রায় জানাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের ছাড়া হবে না।
সোমবার সারাদিন একের পর এক বেনজির ঘটনার সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। প্রথমে রাজ্যের দুই বর্তমান মন্ত্রী এবং দুই প্রাক্তন মন্ত্রীকে রীতিমতো ফিল্মি কায়দায় গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই-এর দফতর নিজাম প্যালেসে পৌঁছে প্রায় ৬ ঘণ্টা অবস্থান করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষে সিবিআই বিশেষ আদালত ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে এই চার নেতার। কিন্তু এই গ্রেফতারির ফলে শহর ও রাজ্যজুড়ে যে ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তাতে এখানে মামলা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেই মনে করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিশেষ করে নিজাম প্যালেস এলাকায় যেমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল, তার পর আর এ রাজ্যে মামলার শুনানি করতে চাইছে না সিবিআই।
Be the first to comment