আমরা খারাপ, শুভেন্দু আর মুকুল ভালোঃ মদন মিত্র

Spread the love

‘আমরা খারাপ, শুভেন্দু আর মুকুল ভাল’ নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে এমনটাই বললেন মদন মিত্র। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১ টা। ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রেসিডেন্সি জেলের উদ্দেশে রওনা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। নারদ মামলায় ৪ হেভিওয়েটের গ্রেফতার ঘিরে দিনভর কার্যত ধুন্ধুমার চলতে থাকে। রাত গড়িয়েও অব্যাহত উত্তেজনা। 

সোমবার রাতে সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে মদন মিত্র মন্তব্য করেন, ‘আমরা ছাড়া শুভেন্দু আর মুকুল ভাল’। হতাশার সুরে তিনি আরও বলেন ‘আমার স্ত্রী কোভিড আক্রান্ত, সেই অবস্থাতেই আমার বাড়িতে ঢুকে পড়েছে সিবিআই’। মদন মিত্রের কথায়, ‘স্ত্রী আলাদা ঘরে আইসোলেশনে, সেই অবস্থাতেই ২০-৩০ জন নিয়ে সিবিআই ঘরে ঢুকে যায়। বলার কিছু নেই। মানুষ সবই দেখছেন।’

মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছে যান চার নেতা। ভিতরে ঢোকেন তাঁরা। শুরু হয় বাকি কাজ। প্রেসিডেন্সি জেলের সামনে হাজির হন ফিরহাদ হাকিমের স্ত্রী। রয়েছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সবমিলিয়ে চার নেতার পরিবারই পৌঁছে যান প্রেসিডেন্সি জেলের সামনে।  নিরাপত্তার জন্য লম্বা ব্যারিকেট করা হয়েছে চত্ত্বরে। মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রচুর জওয়ান। 

সোমবার সন্ধে বেলা জামিন মঞ্জুর করলেও রাতে ফিরহাদদের জামিনে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। জানানো হয় বুধবার শুনানির আগে পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হবে নারদ মামলায় ধৃত চার হেভিওয়েটকে। শুরু হয় জেলে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি। সাজানো হয় কনভয়। হাজির হয় কলকাতা পুলিসের বিশাল বাহিনী। নিজাম প্যালেসের সামনে উপস্থিত হন ফিরহাদ হাকিমের কন্যাও। শান্তি বজায় রাখতে মাইকে প্রচার চালায় পুলিস। শান্ত থাকার আর্জি জানিয়েছে ফিরহাদ কন্যাও। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনায় চড়তে থাকে।

এ দিন সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে হতাশার সুর শোনা গিয়েছে বাকি তিন নেতার গলাতেও। ‘আইনের মধ্যে দিয়ে আমরা মুক্তি পাব’ বলেই জানান ফিরহাদের। তাঁর জামিন কেন মঞ্জুর হল না তাও প্রশ্ন করেন ফিরহাদ হাকিম। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*