গত বছর করোনা অতিমারি যখন সবে সবে গ্রাস করছে, তারই মধ্যে আঘাত হেনেছিল আমফান। দুরন্ত ঘূর্ণিঝড়ে তছনছ হয়ে গিয়েছিল গোটা বাংলা। বেশ কিছুদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের একাংশ কার্যত বিদ্যুৎ বিহীন হয়েছে পড়েছিল। বিদ্যুৎ বিভ্রাটে সাইক্লোন কবলিত এলাকার মানুষকে দিন কাটাতে হয় অন্ধকারে। তাই সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আর কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না রাজ্য সরকার। প্রস্তুতি চলছে বিদ্যুৎ দফতরে। ছুটি বাতিল হয়েছে দফতরের কর্মীদের। জরুরি বৈঠকে বসে সব পরিকল্পনা সাজালেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
আজ, শুক্রবার এই প্রস্তুতি সংক্রান্ত একটি বৈঠক করেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। উপস্থিত ছিলেন তাঁর দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরাও। সেই বৈঠকের পর মন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার যেহেতু দক্ষিণবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাই দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, বিধান নগর ও মেদিনীপুরে আগে থেকে দফতরের বিশেষ ‘গ্যাং’ থাকবে। ২৫-৩০ জনের একটি দল তৈরি করা হবে, সেই দলের একজন প্রধান থাকবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ৪৫০ টি ট্রান্সফর্মার প্রয়োজনে পাঠানো হবে, সেগুলি আলাদা করে রাখা আছে। ২০৫৫ কিলোমিটার তার ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। জেলায় জেলায় পাঠানো হয়েছে বাতিস্তম্ভ। ঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা ২৬ মে। তার আগে ২৫ তারিখ থেকে কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। সেই কন্ট্রোল রুমে নিজেই থাকবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, সঙ্গে থাকবেন আধিকারিকরা। জরুরি পরিষেবার জন্য দুটি ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে। নম্বরগুলি হল, 8900793503/8900793504। এছাড়া, আজ থেকে দফতরের সব কর্মীদের ছুটি বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ২৬ মে এই ঘূর্ণিঝড় বাংলা এবং ওড়িশার উপকূলে প্রবেশ করবে। উপকূলে প্রবেশ করার সময় হাওয়ার গতিবেগ কমপক্ষে ৮০-৮৫ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে। যার জেরে ২৫ মে থেকে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের জেলাগুলোতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। ২৬ মে রাত থেকে বৃষ্টির পরিমান বাড়বে।
Be the first to comment