অনেক সেক্টরে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ মোডে কাজ করার সুযোগ থাকলেও ব্যাংকের ক্ষেত্রে কখনই তা সম্ভব হয়নি। অতিমারির শুরু থেকেই প্রত্যেক দিন অফিসে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। দীর্ঘদিন ধরেই এই সেক্টরের কর্মীদের করোনা-যোদ্ধার তকমা দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। অবশেষে সেই আবেদনে সাড়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে এবার ব্যাংককর্মীদের টিকাকরণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। শুক্রবার এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তে খুশি ব্যাংককর্মীরা।
গতকালই এক চিঠিতে ব্যাংক-সহ বেশ কয়েকটি সেক্টরের কর্মীদের ভ্যাকসিনে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য সওয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তিনি একটি চিঠিও দেন নরেন্দ্র মোদীকে। চিঠিতে তিনি রাজ্যে কর্মরত কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘রেল, বিমান বন্দর, বন্দর, প্রতিরক্ষা, বীমা, ব্যাংক-সহ সব কেন্দ্রীয় সরকারি সেক্টরের কর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। তাঁদের অগ্রাধিকার দিয়ে টিকাকরণের ব্যবস্থা করা উচিত।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘এই সব কর্মীরাই দেশের জরুরি পরিষেবা বজায় রাখে। কাজের স্বার্থেই তাঁরা মানুষের সঙ্গে মিশতে বাধ্য হন। তাই তাঁদের করোনায় সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাই অবিলম্বে বয়স নির্বিশেষে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের দ্রুত টিকা দেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, গোটা রাজ্যে লকডাউন চললেও ছুটি পাননি ব্যাংক কর্মীরা। গত বছরও করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও নিজেদের কাজ চালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। করোনা আক্রান্তও হয়েছেন অনেকে। বহু ব্যাংক অফিসার ও কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাই এবার নিজেদের করোনা যোদ্ধা হিসেবে দাবি করে টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন কর্মীরা। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোটা রাজ্যে ব্যাংক কর্মীদের টিকাকরণের কাজ খুব দ্রুত চালু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এবার অবশ্য কর্মীদের কথা মাথায় রেখে ব্যাংকের সময় কমিয়ে ১০ টা থেকে ২টো করা হয়েছে।
Be the first to comment