১৭০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম, হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে কী বললেন কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়?

Spread the love

দেবনীল সাহা

জেল থেকে বেরিয়ে এবার গৃহবন্দি চার নেতা। জামিন মঞ্জুর হল না শুক্রবারও, উল্টে দুই বিচারপতির মতবিরোধে মামলা চলে গেল তৃতীয় বেঞ্চে। তবে হাজতবাস থেকে আপাতত মুক্তি পেলেন বঙ্গ রাজনীতির ফিরহাদ, সুব্রতরা। দীর্ঘ বাদানুবাদ আর রায়দান নিয়ে দুই বিচারপতির মধ্যে মতবিরোধের পর শেষ পর্যন্ত গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেওয়া হল। তবে দুই বিচারপতির মধ্যে মতবিরোধের কারণে মামলা গেল হাইকোর্টের তৃতীয় বেঞ্চে। নারদকাণ্ডে ধৃত চার নেতা-মন্ত্রীকে আপাতত বাড়িতেই গৃহবন্দি থাকতে হবে। বাড়ি থেকেই কলকাতা পুরসভার প্রধান ফিরহাদ হাকিম তার প্রশাসনিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারবেন। অন্যদিকে, অসুস্থ মদন-সুব্রত-শোভন বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা ক্ষেত্রে সমস্ত সুযোগ-সুবিধা পাবেন। চিকিৎসকরা তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসতে পারেন। তবে নারদ মামলায় ধৃত চার নেতা বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন না বা কোনও সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার যাবতীয় কাজ ফিরহাদ হাকিমকে করতে হবে অনলাইনে।

নারদ মামলার শুনানি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের অস্বাভাবিক আচরণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। আইনজীবী তথা তৃণমূল সাংসদ কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, “কলকাতা হাইকোর্টের ১৭০ বছরের ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় এজলাস বসিয়ে রাত ১২টায় শুনানি দেওয়া হয়েছে। অথচ অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা জানতেনই না এই শুনানির বিষয়ে। আমাদের বক্তব্য রাখার সুযোগটাই দেওয়া হয়নি। শুধু সিবিআই বলেছে বলে অভিযুক্তদের জামিন খারিজ করে জেল হেফাজত দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনা কলকাতা হাইকোর্টের ১৭০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম।”

শুক্রবারের মামলার শুনানিতে বিভিন্ন বেঞ্চের দুই বিচারপতির মধ্যে তুমুল মতবিরোধ দেখা যায়। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায় নারদ মামলায় ধৃত চার নেতার অন্তর্বতী জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এর বিরোধিতা করেন। এজলাসে শুরু হয় তীব্র আইনি বাদানুবাদ। শেষ পর্যন্ত মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে রায়। কিন্তু শুক্রবার বিকেল পাঁচটার পরও স্পষ্টভাবে জানা গেল না এই তৃতীয় বেঞ্চ কবে কখন বসবে?

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*