এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ব্লক। যেখানে এই মুহূর্তে ভর্তি রয়েছেন রাজ্যের তিন হেভিওয়েট নেতা। তার মধ্যে দু’জন আবার কলকাতার প্রাক্তন মেয়রও বটে। বুধবার সন্ধ্যায় নারদা মামলার শুনানির পর সেই উডবার্নের কাচের জানালা দিয়ে যে দৃশ্য দেখা গেল, তা কার্যত নজিরবিহীন।
উডবার্নের ১০৬ নম্বর ঘরে ভর্তি রয়েছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। সদ্য বিজেপিত্যাগী শোভনের ঘর থেকে বেরিয়ে ১০২ নম্বর ঘরে ঢুকতে দেখা গেল বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে! এই ১০২ নম্বর ঘরেই রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ক্যামেরা তাক করে রাখতে কিছুক্ষণ পর দেখা যায় সেই ঘর থেকে শাল জড়িয়ে বেরিয়ে আসছেন মদন মিত্র! তাঁর পিছু পিছু এক সঙ্গে দেখা গেল শোভন-বৈশাখীকে। এর পর মদন ঢুকলেন শোভন যে ঘরে রয়েছেন সেখানে। এখন প্রশ্ন হল কী আলোচনা করছেন নারদ মামলায় সিবিআই-র হাতে গ্রেফতার হওয়া এই ত্রয়ী? আর সেই বৈঠকে কী করছেন বৈশাখী?
এখন প্রশ্ন হল কী এমন জরুরি বৈঠক যেখানে অসুস্থ মদন হেঁটে চলে গেলেন আর এক অসুস্থ প্রবীণ নেতার ঘরে? সেখানে কী করছেন শোভন-বৈশাখী? এই সব প্রশ্ন যখন উঠছে ঠিক তখনই আচমকা উডবার্নের বারান্দা অন্ধকার হয়ে গেল! সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরা তাক করা আছে বুঝেই হয়ত আলো নেভানো হল।
সেই অন্ধকারের সঙ্গে সঙ্গে এই বৈঠকে কী আলোচনা হল সেটাও আবছায়ায় থেকে গিয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠছে এভাবে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ পাওয়া তিন নেতা এক সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন কি? সেখানে বৈশাখীর উপস্থিতিই বা কতটা আইনসঙ্গত?
Be the first to comment