একে করোনায় ত্রস্ত কলকাতা, তার ওপরে সর্বশক্তি নিয়ে বাংলার বুকে ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। সপ্তাহ ঘুরলে পরিস্থিতি কী হয় এখন সে দিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য। এ মতাবস্থায় প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বাড়ি ফিরেই কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্য়ান ফিরহাদ হাকিম। বৈঠক করলেন সাইক্লোন যশ ও সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে।
এ দিনের ভার্চুয়াল বৈঠকে ছিলেন রাসবিহারীর বিধায়ক তথা প্রশাসক বোর্ডের সদস্য় দেবাশিষ কুমার, কাশীপুর বেলগাছিয়ার বিধায়ক তথা প্রশাসক বোর্ডের সদস্য় অতীন ঘোষ এবং পুর আধিকারিকরা। করোনা বর্তমান সময়ের সব থেকে বড় ইস্যু। তাই বৈঠকে এ প্রসঙ্গে বিস্তর আলোচনা হয়। টিকা প্রদানের হার কী? আজ কত জন মারা গেছেন রাজ্যে? কলকাতায় বা উত্তর ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে সংখ্যাটা কত? কোন কোন ওয়ার্ডে এই মুহূর্তে কী অবস্থা? সবই জানতে চান ফিরহাদ হাকিম। একইসঙ্গে শ্মশানে চুল্লি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেই চুল্লির কী অবস্থা তাও জানতে চান তিনি। মৃতদেহ প্লাস্টিকের বদলে যাতে সুতির ব্যাগে যাচ্ছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন।
এ দিকে বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ হয়ে আছড়ে পড়লে, কীভবে তার মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়েও আলোচনা হয়। পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্য়ান জানান, আমফানের পুনরাবৃত্তি চান না। ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। যাতে কোনও জল না জমে শহরে। জল যাতে দ্রুত বার করে দেওয়া হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়াও ঝড়ে গাছ পড়ে গেলে তা কাটার জন্য প্রতি জায়গায় কাটার, ল্যাডার রেডি থাকে, তার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, এ দিনই নারদ কাণ্ডে ধৃত চার নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দেয় আদালত৷ সেই অনুযায়ী সন্ধে সাড়ে ছ’টা নাগাদ প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ছাড়া পান ফিরহাদ৷ চেতলা থানা থেকে আসা পুলিশের গাড়িতে সন্ধে ৬.৪০ মিনিট নাগাদ বাড়িতে পৌঁছন ফিরহাদ৷ পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে সবার উদ্দেশে নমস্কার করে বাড়িতে ঢুকে পড়েন পরিবহণমন্ত্রী৷ তারপরেই শুরু করেন তাঁর কাজ।
Be the first to comment