আমফানের স্মৃতি উস্কে দিয়ে ঠিক এক বছরের মাথায় আতঙ্ক এবং আশঙ্কা বাড়াচ্ছে ঘূর্ণিঝড় যশ। বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া নিম্নচাপকে নিয়ে এখন থেকেই যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় সরকার। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, ২৬ মে সন্ধ্যায় এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে। তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের আকারে এই সাইক্লোন আছড়ে পড়বে বলে জানা গিয়েছে। তবে মৌসম ভবন যে তথ্য এ দিন প্রকাশ্যে এনেছে, তাতে বড় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
সূত্রের খবর, শনিবার এই ঘূর্ণিঝড় নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সেক্রেটারি। সেই বৈঠকে একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। আজই মৌসম ভবনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৬ মে বাংলা এবং ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় প্রতি ঘণ্টায় হাওয়ার গতিবেগ ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকবে। আপাতত পূর্বাভাস এমনটাই। ফলে এই ঘূর্ণিঝড় আমফানের থেকেও বিধ্বংসী হওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই ঘূর্ণিঝড় প্রথমেই ধাক্কা মারবে বাংলার এবং ওড়িশার উপকূলে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৬৫ টি জাতীয় বিপর্যয় মোবাবিলা বাহিনীর দল মোতায়েন করা হয়েছে। ২০ দলকে বাড়তি কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য তৈরি রাখা হচ্ছে।
বিপদ বুঝে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক এলাকায় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল পৌঁছে গিয়েছে। এনডিআরএফ-র টিম মোতায়েন করা হয়েছে হাসনাবাদ, সন্দেশখালি, গোসাবা, কাকদ্বীপ, সাগর, দিঘা, রামনগর, কন্টাই, ডায়মন্ড হারবার, কলকাতা, হাওড়া-সহ একাধিক জেলায়। নবান্নর পাশে থাকা প্রশাসনিক ভবন উপান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ২৫ ও ২৬ মে সেখানেই হাজির দেখে নজরদারি চালাবেন মমতা।
Be the first to comment