অবশেষে পুলিশের জালে অলিম্পিয়ান সুশীল কুমার

Spread the love

অবশেষে সুশীল কুমার ধরা পড়লেন দিল্লি পুলিশের হাতে। দু’বারের অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগিরকে ধরার জন্য ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হচ্ছিল না। দিল্লি হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদনও করেছিলেন তিনি। কিন্তু সাগর ধনকড় হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে থাকার জন্য তা খারিজ করে দেয় আদালত। যা কিছুটা হলেও চাপে ফেলে দিয়েছিল সুশীলকে। পুলিশের তদন্তে যাবতীয় সাহায্য করবেন, প্রতিশ্রুতি দিলেও ধরা দিচ্ছিলেন না। মরিয়া হয়ে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। পঞ্জাবের একটি জায়গা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে খবর।

৫ মে ছত্রসাল স্টেডিয়ামের বাইরে দুই কুস্তিগিরদের মধ্যে ঝামেলা হয়। ওই তাণ্ডবের মধ্যে প্রাণ হারান ২৩ বছরের প্রতিশ্রুতিমান রেসলার সাগর। ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হতেই সুশীলকে নিয়ে একের পর এক অজানা তথ্য উঠে আসে। যা চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা। দিল্লি পুলিশের এক সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি তাঁদের হাতে যে সিসিটিভ ফুটেজ এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে, ওই ঝামেলায় সম্পূর্ণ জড়িত ছিলেন সুশীল। মারামারিতেও জড়িয়ে পড়ছিলেন। শুধু তাই নয়, কুস্তিগিরদের অপর দল তাঁর হাতে ব্যাপক মারও খেয়েছিল। তাঁদের মধ্যে সাগরও ছিলেন।

দিল্লি পুলিশ হরিয়ানা ও অন্যান্য জায়গায় চিরুনিতল্লাসি চালালেও সুশীলকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না। সেই কারণে পঞ্জাব পুলিশকেও খোঁজার অনুরোধ করা হয়েছিল। সেই ভিত্তিতেই সুশীলের খোঁজ শুরু করেন তাঁরা। পঞ্জাবেরই একটি জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সুশীলকে। দিল্লি পুলিশের হাতে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে তুলেও দেওয়া হয়েছে।

আপাতত হেফাজতে নিয়ে সুশীলকে জেরা করবে পুলিশ। সাগর হত্যাকাণ্ডে তিনি কতটা জড়িয়ে, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে, সুশীল যদি পালিয়ে না বেড়াতেন, তা হলে আদালত ও প্রশাসনের সহানুভূতিও কিছু পেতেন। সব মিলিয়ে অলিম্পিক যখন ঠিক দোড়গোড়ায়, তখন ভারতের অন্যতম সফল অলিম্পিয়ান তীব্র চাপে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*