আগামী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমানে ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি নামবে। সঙ্গে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দফতরের। ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে।
এদিকে, ইয়াস’-এর মোকাবিলায় জেলায় জেলায় তুঙ্গে প্রস্তুতি। বিন্দুমাত্র ফাঁক রাখা হচ্ছে না প্রস্তুতিতে। দুই মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রশাসনিক স্তরে ঝড় মোকাবিলায় সব রকম প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের। পাশাপাশি, সমুদ্রে থাকা মৎস্যজীবীদের আগামী কালের মধ্যেই ফিরে আসতে বলা হয়েছে।
কোভিড বিধি মেনে সেল্টার তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভাগুলিকে। সম্ভাব্য বিপজ্জনক জায়গা চিহ্নিত করে এলাকাবাসীকে প্রয়োজনে স্থানান্তরিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে গেলে, দ্রুত তা সরানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা, পানীয় জলের সরবরাহের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আমফানের সময় বহু গাছ উপড়ে পড়েছিল। এবং তা সরাতেও সময় লেগে গিয়েছিল বহু দিন। পাশাপাশি নিকাশি ব্যবস্থা সঠিক না থাকায় বিভিন্ন জেলার জলবন্দি দশা ধরে পড়েছিল দীর্ঘদিনই। সেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন করে পরিকল্পনা করছে প্রশাসন।
ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের সমস্ত ছুটি আপাতত বাতিল করা হচ্ছে। জেলা এবং ব্লক স্তরের কন্ট্রোল রুমকে ২৪ ঘণ্টা সক্রিয় রাখতে হবে। আমফানের মতো পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য বিদ্যুৎভবনেও বৈঠক হয়। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের তরফে সমস্ত পুরসভাগুলিকে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Be the first to comment